বেপরোয়া: অনেকের মাস্ক নেই।
যত দিন যাচ্ছে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার নতুন করে বিধিনিষেধ চালু করছে। আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আয়োজন করা হল ফুটবল প্রতিযোগিতার। উপচে পড়ল ভিড়। কোভিড-বিধি উপেক্ষা করে অনেকের মাস্কও ছিল না। শারীরিক দূরত্বও মানা হয়নি।
রবিবার ভাঙড়ের ভোজেরহাটে বাসন্তী হাইওয়ে-লাগোয়া ফুটবল মাঠে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের যাদবপুর ও ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, জেলার আইএনটিটিইউসি সভাপতি শক্তি মণ্ডল, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার আইসি প্রশান্ত ভৌমিক-সহ অন্যান্যেরা।
ভোজেরহাট ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলের দিনরাতের এই ফুটবল প্রতিযোগিতায় নাইজেরিয়ান ফুটবলারারাও খেলছেন। প্রতিযোগিতার মূল উদ্যোক্তা, এলাকার তৃণমূল নেতা তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি অহেদ আলি শেখ। মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল নেতা-নেত্রী, অতিথি-সহ মাঠে উপস্থিত দর্শক— কাউকেই তেমন মাস্ক পরতে দেখা যায়নি।
দিন কয়েক আগে ভাঙড় ১ ব্লক এলাকায় করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় শূন্য ছিল। রবিবার করোনা আক্রান্ত অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪। অহেদ বলেন, ‘‘পুরভোটের কারণে খেলা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে এদিন খেলার দিন অনেক আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। তা ছাড়া, এখনও লকডাউন ঘোষণা হয়নি। আজকের দিনে খেলাটা না হলে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে গন্ডগোল করতে পারত। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিযোগিতা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া, আমরা কোভিড-বিধি মেনে সব কিছুর আয়োজন করেছি।’’
শুভাশিস বলেন, ‘‘এই খেলাটা অনেক আগে থেকেই ঠিক করেছিল। তা ছাড়া, এখনও পর্যন্ত যা খবর, সোমবার থেকে সরকারি ভাবে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। করোনা সতর্কতা-বিধি মেনেই সব করার কথা বলা হয়েছে।’’
ভাঙড় ১ বিডিও দীপ্যমান মজুমদারের কথায়, ‘‘এ ধরনের প্রতিযোগিতার কোনও অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে মনে পড়ছে না। বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’
ভাঙড় ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃণাল মোহনের বক্তব্য, ‘‘আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা নেই। তবে এটা ঠিক, যে ভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে এ ধরনের জমায়েত করার ফলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’