এখান থেকে উদ্ধার হয় ভ্রূণগুলি। ছবি: সুজিত দুয়ারি
কৌটোবন্দি প্রায় চব্বিশটি ভ্রূণ উদ্ধার করল হাবড়া থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপনে বটতলা এলাকা থেকে পুলিশ ভ্রূণগুলি উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমাণ, বেআইনি ভাবে গর্ভপাত করা ভ্রূণ। বিভিন্ন নার্সিংহোমে বেআইনি গর্ভপাত চলে। সে রকম কোনও নার্সিংহোম থেকেই ভ্রূণগুলো ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারী অফিসারেরা মনে করছেন। ভ্রূণগুলোর ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ উপনে বটতলা এলাকায় একটি জলাশয়ে কয়েকজন যুবক মাছ ধরতে গিয়েছিল। মাছ ধরার জন্য যুবকেরা জলাশয়ের একাংশ পরিষ্কার করছিলেন। ওই সময় তাঁদের নজরে পড়ে জলের মধ্যে একটি বস্তা। মাছ ধরতে আসা যুবকদের মধ্যে তুষার সরকার বলেন, ‘‘সন্দেহ হওয়াতে বস্তা খুলি। দেখতে পাই বস্তার মধ্যে প্রচুর কৌটো। কৌটোর মধ্যে মাংসপিণ্ড।’’ খবর পেয়ে এলাকার লোকজন আসেন। পলাশ গায়েন নামে ব্যক্তির কথায়, ‘‘কৌটোর মধ্যে মাংসপিণ্ড ছিল। মাথা হাত বোঝা যাচ্ছিল। কৌটার উপরে কোনও মহিলার নাম লেখা ছিল। নামটা বোঝা না গেলেও পদবি লেখা ছিল।’’ তবে কে বা কারা জলাশয়ে ফেলে রেখে গিয়েছেন তা দেখতে পাননি এলাকাবাসী।
হাবড়া, অশোকনগর, গাইঘাটা, বাদুড়িয়া এলাকায় অতীতে বেআইনি গর্ভপাতে কারবারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে নার্সিংহোমে গর্ভপাতের কারবার চলত বলে পুলিশ জানতে পেরেছিল। ধরপাকড়ের পর চক্রের কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছিল। ফের নতুন করে কোনও চক্র সক্রিয় হয়ে উঠল কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।