তৎপরতা: কাটা হচ্ছে মরা গাছের ডাল। নিজস্ব চিত্র।
চলন্ত গাড়ির উপরে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে গুরুতর জখম হলেন ৫ জন। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার মানুষ বেশ কিছুক্ষণ লাউহাটি-হাড়োয়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার ঢিবঢিবা বাজারের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, জখমদের নাম ফতেমা বিবি, সেলিম মোল্লা, সইদুল মোল্লা, এজারুল মোল্লা, রেশমা বিবি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন কাশীপুর থানার মাছিভাঙা গ্রাম থেকে প্রায় কুড়িজন একটি পিকআপ ভ্যানে ঈশ্বরীপুরে এক মৃত আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ঢিবঢিবা বাজারের কাছে রাস্তার ধারে মরে যাওয়া শুকনো গাছের ডাল ভেঙে গাড়ির উপরে পড়ে। জখম হন কয়েকজন। কয়েকজন জ্ঞান হারান। এলাকার লোকজন তাঁদের স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
রাস্তার ধারের মরা গাছ কেটে ফেলার দাবিতে লাউহাটি-হাড়োয়া রোডে শুরু হয় অবরোধ। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। পুলিশ, ব্লক প্রশাসন ও পূর্ত দফতরের সমন্বয়ে তড়িঘড়ি রাস্তার ধারের গাছের শুকনো ডাল কেটে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়। এরপরেই বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। কাশীপুর থানা এলাকায় লাউহাটি-হাড়োয়া রোডের দুই ধারে কয়েকশো শিরীষ গাছ রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু গাছ মারা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার ধারে মরা গাছের শুকনো ডাল ঝুলছে। এর আগেও গাছের ডাল ভেঙে পথচলতি মানুষ জখম হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই মরা গাছ কেটে ফেলার দাবি আছে মানুষের।
জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার ধারে মরা গাছগুলি থেকে শুকনো ডাল বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছে। আগেও বেশ কয়েকজন গাছের ডাল ভেঙে অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন। রাস্তার ধারে প্রায় ৩০-৪০টি মরা গাছ রয়েছে। গাছগুলি কাটার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।’’
এ বিষয়ে ভাঙড় ২ বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘এ রকম একটা ঘটনার কথা শুনেছি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তার ধারের মরা গাছগুলি পূর্ত দফতরের অধীন। গাছ কেটে ফেলার জন্য আমরা দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। অবিলম্বে গাছগুলি কেটে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।’’
যশোর রোডেও মরা গাছের ডাল মাথায় পড়ে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে আগে। মৃত্যুও হয়েছে। মরা গাছ এবং গাছের শুকনো ডাল কাটার দাবি আছে সেখানেও।