Kultali

বাঘের হানায় মৃত্যু 

প্রায় দশ বছর ধরে নদী-খাঁড়িতে মাছ-কাঁকড়া ধরে সংসার চলে অভয়ের। ২৫ ডিসেম্বর দুই সঙ্গী-সহ নৌকো নিয়ে জঙ্গলে যান তিনি। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুলতলি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৪৭
Share:

শোকার্ত: বাঘের হানায় মৃত মৎস্যজীবীর পরিবার। নিজস্ব চিত্র ।

ফের সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। মঙ্গলবার বিকেলে সুন্দরবনের গভীরে মেছুয়াদ্বীপের কাছে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম অভয় মণ্ডল (৩৮)। তাঁর বাড়ি কুলতলির দেউলবাড়ি পঞ্চায়েতের কাঁটামারিতে। এই নিয়ে চলতি বছরে বাঘের আক্রমণের মুখে প্রাণ হারালেন ২০ জন।

Advertisement

স্ত্রী ও চার মেয়েকে নিয়ে অভয়ের সংসার। ছোট মেয়ের বয়স সবে বছর চারেক। প্রায় দশ বছর ধরে নদী-খাঁড়িতে মাছ-কাঁকড়া ধরে সংসার চলে অভয়ের। ২৫ ডিসেম্বর দুই সঙ্গী-সহ নৌকো নিয়ে জঙ্গলে যান তিনি।

ঘটনার দিন দুপুর থেকে তাঁরা মেছুয়া দ্বীপের কাছে বালির খালে কাঁকড়া ধরছিলেন। জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অভয়ের উপরে। ঘাড়ে কামড় বসিয়ে জঙ্গলের টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দুই সঙ্গী লক্ষ্মণ ও যাদব লাঠিসোঁটা নিয়ে বাঘের সামনে রুখে দাঁড়িয়ে অভয়কে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পরে অভয়কে ছেড়ে গজরাতে গজরাতে জঙ্গলের গভীরে ঢুকে যায় দক্ষিণরায়। কিন্তু ততক্ষণে অভয়ের দেহে প্রাণ ছিল না বলে জানান সঙ্গীরা।

Advertisement

সন্ধে নামায় গ্রামে ফিরতে পারেননি তাঁরা। বুধবার সকালে অভয়ের দেহ নিয়ে কাঁটামারিতে আসেন সঙ্গীরা। শোকের ছায়া নামে গ্রামে।

এ দিন বিকেলে মৃতের বাড়িতে যান মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের কর্মীরা। প্রশাসনের কাছে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, পারিবারিক পেনশনের ব্যবস্থা ও বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার আর্জি জানান তাঁরা। এপিডিআরের জয়নগর শাখার সম্পাদক মিঠুন মণ্ডল বলেন, “সরকার পাশে না দাঁড়ালে চারটি বাচ্চা-সহ এই পরিবারটি খুবই সমস্যায় পড়বে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement