মিনাখাঁর বিডিও শেখ কামরুল ইসলাম বলেন, “এই বাজার ও সংরক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করার জন্য বারাসত জেলা প্রশাসনিক দফতরের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল রয়েছে। সরাসরি তারা এ সব দেখাশোনা করে। তাদের কাছে মৎস্য সংরক্ষণগৃহ চালু করার জন্য লিখিত আবেদন জানাব।”
বন্ধ: এখনও চালু হয়নি এই সংরক্ষণ কেন্দ্র। ছবি: নির্মল বসু
বাগদা-গলদা চিংড়ি-সহ নানা ধরনের মাছ সংরক্ষণের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল মিনাখাঁয়। কিন্তু এখনও তার উদ্বোধন হল না। ফলে সুন্দরবনের ব্যবসায়ী ও চাষিরা মাছ নষ্ট হওয়ার ভয়ে কম দামে বিক্রি করছেন মাছ।
মিনাখাঁর মালঞ্চ মাছবাজার থেকে চিংড়ি কিনে কলকাতার নানা বড় সংস্থা বিদেশে রফতানি করে। হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদের বিভিন্ন এলাকার মৎস্যচাষিরা এই বাজারে মাছ বিক্রি করতে আসেন। এখান থেকে কোটি টাকার মাছ রফতানির কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বামুনপুকুরে বছর দু’য়েক আগে দেড় কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল সরকারি মাছ সংরক্ষণ কেন্দ্র। দ্বিতল ওই বাজারে ৬০টি ঘর রয়েছে। সেখানে নানা ধরনের মাছ সংরক্ষণ সম্ভব। কিন্তু আজও উদ্বোধন হয়নি সেই কেন্দ্রের। এখন মাছ সংরক্ষণের ঘরগুলির দেওয়াল থেকে খসে পড়ছে বালি-সিমেন্টের আস্তরণ, পোকা-মাকড়ের আস্তানা হয়ে উঠেছে ঘরগুলি।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবি, সংরক্ষণ কেন্দ্রটি চালু করার জন্য বেশ কয়েকবার দাবি জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। মাছচাষি সুরজিৎ মণ্ডল, ইয়ামিন হোসেন, ইমরান মোল্লা, আমজেদ সর্দারেরা জানান, মৎস্য সংরক্ষণের উপযুক্ত পরিকাঠামোর না থাকায় অনেক মাছ অল্প দামে বিক্রি করে দিতে হয় সংস্থার কাছে। কোটি টাকার উপরে ব্যয়ে তৈরি কেন্দ্রটি চালু হলে তাঁরা উপকৃত হতেন। চিংড়ির দাম বাড়লে এলাকার অর্থনৈতিক দিক অনেকটাই মজবুত হবে বলে মনে করেন তাঁরা। এখন ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মিনাখাঁ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হোসেন গাজি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই মৎস্য সংরক্ষণ কেন্দ্র অবিলম্বে চালু করার জন্য আবেদন করেছি। জেলা মৎস্য আধিকারিকের সঙ্গেও কথা বলব।”
মিনাখাঁর বিডিও শেখ কামরুল ইসলাম বলেন, “এই বাজার ও সংরক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করার জন্য বারাসত জেলা প্রশাসনিক দফতরের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল রয়েছে। সরাসরি তারা এ সব দেখাশোনা করে। তাদের কাছে মৎস্য সংরক্ষণগৃহ চালু করার জন্য লিখিত আবেদন জানাব।”