তখনও জ্বলছে। নিজস্ব চিত্র।
৫ মিনিটের পথ আসতে সময় লাগল প্রায় ৪৫ মিনিট। ততক্ষণে ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হল।
শনিবার রাতে ক্যানিং স্টেডিয়ামের কাছে একটি দোকানে আগুন লাগে। সেখান থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। অভিযোগ, দমকল এসেছে পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরে। তার জন্যই আগুনে ভস্মীভূত হয় দোকানগুলি।
পুলিশ জানিয়েছে, কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু হোটেলে, স্টেশনারি, বিস্কুট, চানাচুর- সহ বিভিন্ন রকমের দোকানে আগুন লেগেছিল। প্রায় ২০-২২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই দমকলে খবর দেয় স্থানীয়রা। কিন্তু দমকল কেন্দ্রে ফোন পাওয়া যায়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। তাঁরা এক অফিসারের ফোনেও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ফোনও বন্ধ ছিল বলে স্থানীয়রা জানান। পরে দমকলের এক উচ্চপদস্থ কর্তাকে ফোন করলে দমকল আসে। প্রায় ঘণ্টা দু’য়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশ রাম দাস বলেন, ‘‘আগুনে বেশ কিছু গরিব মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছে। ক্ষতিপূরণের জন্য দমকলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দেখছি।’’
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুনের খবর পৌঁছতে দেরি হয়েছে। তা ছাড়া জল ছিল না। জল ভরে আনতে গিয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি হয়েছে। বাসিন্দারা জানান, এর আগেও ক্যানিং মোড়ে আগুন লেগেছিল। সে সময় বারুইপুর থেকে দমকল আসত। সে কারণে দেরি হতো। কিন্তু এখন ঢিল ছোড়া দূরত্বে দমকল কেন্দ্রটি। তাও পুড়ে গেল দোকান। সময়ে দমকল এল না। কী কারণে আগুন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।