কফি খেয়ে শরীর-মন চাঙ্গা হলেও মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফিন ভাল নয়, কী ভাবে তার পরিমাণ কমাবেন?

অতিরিক্ত ক্যাফিন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বার বার চা-কফি খাওয়ার প্রবণতা কমাবেন কী ভাবে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৫১
Share:

চা-কফির সঙ্গে শরীরে যাচ্ছে ক্যাফিন। মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফিন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। কী ভাবে হবে সমস্যার সমাধান? ছবি: ফ্রিপিক।

ঘুম থেকে উঠে শরীর চাঙ্গা করতে এক কাপ চা বা কফি দরকার। কাজের চাপে মাথা ঝনঝন করলেও ভরসা সেই কফি। কারও আবার ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা-কফি না হলে কাজের মেজাজ আসে না।

Advertisement

কিন্তু চা বা কফি কোনওটাই মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া ভাল নয়। এতে ক্যাফিন রয়েছে। স্বল্প মাত্রায় তা শরীরে গেলে ক্ষতি না হলেও, ঘন ঘন চা-কফিতে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।

কী ভাবে সেই অভ্যাস ছাড়তে পারেন বা কমাতে পারেন ক্যাফিনের পরিমাণ?

Advertisement

পাতলা চা এবং কফি: ঘন ঘন যাঁদের চা-কফি ছাড়া চলে না, তাঁরা কড়া করে না খেয়ে কফি এবং চায়ের পরিমাণ কমাতে পারেন। কেউ সারা দিনে ৪-৫ কাপ কফি খেলেও, এতে কম পরিমাণ ক্যাফিন শরীরে যাবে। আবার এক কাপের বদলে আধ কাপও খেতে পারেন।

নিয়ম: শুরুটা পরিমাপ কমিয়ে করলেও, কাপও সংখ্যায় বেঁধে ফেলুন। কেউ হয়তো ৫-৬ কাপ চা কিংবা কফি খান। তিনি লক্ষ্যমাত্রা রাখুন ৪ কাপের। সারা দিনে কখন খাবেন সেটিও ঠিক করে নিন। এ ভাবে কিছু দিন অভ্যাসের পর তা কমিয়ে ৩ কাপে নামিয়ে আনতে পারবেন।

অন্য পানীয়: দিনে হয়তো ৫ বার কফি খাচ্ছেন। দিনে ৩ বার কফি খেয়ে ২ বার ভেষজ চা খেতে পারেন। আদা, লেবু, মধু কিংবা গোটা গরমমশলা দিয়ে বানিয়ে নিন ভেষজ চা। চা বলা হলেও এতে চা-পাতা থাকে না। ফলে বাদ যাবে ক্যাফিন।

ফলের রস: অতিরিক্ত ক্যাফিন শরীরে গেলে জলশূন্যতা-সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। কফির বদলে কোনও কোনও সময় জল, ফল অথবা ফলের রসও খেতে পারেন। ফলের রস কিংবা ফলও শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি সারা দিনে পর্যাপ্ত জল খাওয়াও খুব জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement