মাস দু’য়েক আগে হাবরায় এক মহিলা খুন হয়েছিলেন। শনিবার পুলিশ খুনের অভিযোগে ধৃত সুমন্ত দেবনাথকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। ওই এলাকারই বাসিন্দা এই খুনে ধৃত সাধন সরকারের বাড়ির গোডাউন থেকে পুলিশ দু’টি পাইপগান ও চপার উদ্ধার করেছে। এই চপার দিয়েই কল্যাণী বৈরাগী নামে ওই মহিলাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। ৩০ জুন রাতে হাওড়া স্টেশনের বাইরে থেকে সুমন্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
সুটিয়া গণধর্ষণ মামলার অন্যতম সাক্ষী গাইঘাটার শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসকে খুনের মামলাতেও ধরা পড়েছিল সুমন্ত। তখন সে কিশোর। কিন্তু হোম থেকে ছাড়া পেয়ে সে অপরাধ জগতের সঙ্গে ফের জড়িয়ে পড়ে বলে জানতে পারে পুলিশ। কল্যাণীদেবীকে খুনের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে খারো এলাকা থেকে এক দম্পতিকেও ধরে পুলিশ।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, ওই দম্পতিই সুমন্তকে খুনের সুপারি দিয়েছিল। প্রেমঘটিত কারণেই ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।