গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
স্কুলের মধ্যে দুই সহপাঠীর মারামারির ঘটনায় মৃত্যু হল এক ছাত্রের। সোমবার দুপুরে ডায়মন্ড হারবারের ধনবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম মলয় হালদার। বছর ষোলোর মলয় ওই স্কুলেই একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। তাকে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
মলয়ের বাড়ি ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে গত কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। সুস্থ হওয়ার পর সোমবারই মলয় প্রথম স্কুলে গিয়েছিল। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় পিরিয়ডের পর মলয় এবং তার এক সহপাঠী খেলাচ্ছলে মারপিট শুরু করে। সেই সময় মলয়ের কানের নীচে তার সহপাঠীর একটি ঘুষি এসে লাগে। তার পরেই অচেতন হয়ে পড়ে মলয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর মলয়কে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান তার পরিবারের সদস্যেরা। সেখানকার চিকিৎসকেরাও জানান, মলয় মারা গিয়েছে।
মলয়ের বাবা শ্যামাপদ হালদার বলেন, ‘‘স্কুলে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, অথচ কেউ কিছু জানতেই পারলেন না! স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কী করছিলেন? তাঁদের গাফিলতির জন্যই আমার ছেলের প্রাণ গিয়েছে। স্কুলে কোনও নজরদারি না থাকার কারণেই এত বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে। স্কুলকেই এর দায় নিতে হবে।’’
এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মলয়ের দেহ পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, অভিযুক্ত সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদও করছে তারা। স্কুলের ভূমিকা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন শ্যামাপদ।
পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মানসী নস্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এমন ঘটনা ঘটবে স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি স্কুলের নিজের ঘরে ছিলাম। গন্ডগোলের খবর পেয়েই বেরিয়ে আসি। আহত ছাত্রকে নিয়ে হাসপাতালে যাই। পরে তার মৃত্যু হয়। কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা তদন্ত করে দেখতে হবে।’’