Royal Bengal Tiger

পাথরপ্রতিমায় বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের, দিনরাত পাহারায় বন দফতরের কর্মীরা

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুস্মিতা দাস নামে এক স্কুলছাত্রী নদীর বাঁধে একটি ষাঁড় এবং কুকুরকে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়তে দেখে। তার হাতে টর্চ ছিল। সেটা দিয়ে একটু দূরেই একটি বাঘ দেখে জ্ঞান হারায় সে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

পাথরপ্রতিমা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আবার বাঘের আতঙ্ক ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধরনগর এলাকায়। এক স্কুলছাত্রী বাঘ দেখে গ্রামে জানান। তার পর নদীর ধারে বাঘের পায়ের ছাপ চিহ্নিত করেছেন মৎস্যজীবারাও। খবর পেয়ে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা। উৎকণ্ঠায় এলাকাবাসী।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুস্মিতা দাস নামে এক স্কুলছাত্রী নদীর বাঁধে একটি ষাঁড় এবং কুকুরকে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়তে দেখে। তার হাতে টর্চ ছিল। সেটা দিয়ে একটু দূরেই একটি বাঘ দেখে জ্ঞান হারায় সে। পরে মাকে বাঘের কথা জানায় মেয়েটি। খবর রটে যায় পুরো গ্রামে। প্রথমে এলাকার বেশির ভাগ মানুষজন ছোট মেয়েটির কথায় বিশ্বাস না করলেও শুক্রবার সকালে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে বন দফতরকে খবর দেন। অন্য দিকে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতেই জঙ্গলের কাছে হাজির হন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ।

তড়িঘড়ি বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা বাঘের পায়ের ছাপ চিহ্নিত করেছেন। শুরু হয়েছে মাইক নিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার। ইতিমধ্যে বন দফতরের পক্ষ থেকে জঙ্গলে তিনটি খাঁচা পাতা হয়েছে। বন দফতরের কর্মীদের সঙ্গে কয়েকশো মানুষ রাতে গ্রাম পাহারা দেওয়া শুরু করেছেন। ঋতারানি সামন্ত নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘সুন্দরবনে বাস করি। বাঘের ভয় তো থাকেই। আবার সেই আতঙ্ক শুরু হয়েছে। দিনের বেলাতেও ভয়ে ভয়ে কাটছে। আমরা পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি। সেখান থেকে পুলিশ এবং বন দফতরে খবর যায়। এখন গ্রামে পাহারা দেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

যদিও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বাঘের দেখা মেলেনি। সকালের গ্রামবাসীদের অনেকে লাঠি হাতে নদী বাঁধে পাহারা দিচ্ছেন। বন দফতরের লোকজন লঞ্চ নিয়ে নদী পাহারা দিচ্ছেন। তবে বাঘের অবস্থান জানতে পায়ের ছাপ দেখে তা বোঝার চেষ্টা করছে বন দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement