Famous Picnic spot Raichak facing problem due to lack of lavatories and drinking water crisis

শৌচাগার-জলের সমস্যায় ভুগছে রায়চক

কলকাতা থেকে যেতে সময় লাগে মেরেকেটে দু’ঘণ্টা। ফলে শীতের দুপুরে অনেকেরই একবেলার গন্তব্য হয় ডায়মন্ড হারবারের রায়চক। শীতের মরসুম তো বটেই বছরের অন্যান্য সময়েও এখানে ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু জমজমাট এই পিকনিক স্পটে নেই জল সরবরাহের ব্যবস্থা, স্থায়ী শৌচালয়, আলো।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২১
Share:

জমেছে আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র।

কলকাতা থেকে যেতে সময় লাগে মেরেকেটে দু’ঘণ্টা। ফলে শীতের দুপুরে অনেকেরই একবেলার গন্তব্য হয় ডায়মন্ড হারবারের রায়চক। শীতের মরসুম তো বটেই বছরের অন্যান্য সময়েও এখানে ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু জমজমাট এই পিকনিক স্পটে নেই জল সরবরাহের ব্যবস্থা, স্থায়ী শৌচালয়, আলো।

Advertisement

রায়চকের গঙ্গার ধারে প্রায় ১০০ বিঘা এলাকা জুড়ে পিকনিক চলে। এই জমিটির বেশিরভাগ অংশ পোর্ট ট্রাস্টের। বাকিটা সরকারি খাস জমি। রায়চকের পিকনিক স্পটে গিয়ে দেখা গেল, এ দিক ও দিক ছড়িয়ে পিকনিক করছেন কয়েক হাজার মানুষ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে থার্মোকলের থালা, গ্লাস, বাটি। কলকাতার শ্যামবাজার থেকে আসা একটি পরিবার রান্নার জন্য জল খুঁজছিলেন। অনেক খুঁজে পাওয়া গেল এক জল বিক্রেতাকে। এক লিটার জলের দাম দাঁড়ালো ১৫ টাকা। শুধু পানীয় জলের সমস্যা নয়, রয়েছে শৌচাগারের সমস্যা। এই পিকনিক স্পটে কোনও স্থায়ী শৌচাগার নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে তৈরি কয়েকটি অস্থায়ী শৌচাগারই পর্যটকদের ভরসা। সেগুলিও প্রায় ব্যবহারের অযোগ্য। এ ছাড়া, রায়চক জেটিঘাটের পাশে একটি সরকারি শৌচাগার রয়েছে। পিকনিক করতে আসা নীলা দাস, মনিলা পুরকাইত, শম্পা হালদারদের ক্ষোভ, ‘‘শৌচাগারের মতো নূন্যতম পরিষেবাটুকুও নেই এখানে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’ ডায়মন্ড হারবার ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি পিনাকী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ওই পিকনিক স্পটে নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচাগার তৈরি হওয়ার কথা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement