প্রতীকী ছবি।
কয়েক বছর ধরে ব্যারাকপুরের বড়পোল এলাকার সকলে তাঁকে চিনতেন ‘এমবিবিএস’ পাশ করা চিকিৎসক হিসেবে। জ্বর, সর্দি, কাশি-সহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে তাঁর চেম্বারে ভিড়ও করতেন রোগীরা। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার পরে জানা গেল, ওই চিকিৎসক আদতে ভুয়ো। চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও ডিগ্রিই নেই তাঁর! পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভুয়ো চিকিৎসকের নাম পার্থসারথি বাগ। বুধবার তাঁকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে বড়পোল এলাকার একটি ওষুধের দোকানের পাশে চেম্বার ছিল বারাসতের বিদ্যাসাগর রোডের অরবিন্দপল্লির বাসিন্দা পার্থসারথির। প্রেসক্রিপশনে তাঁর ডিগ্রি লেখা থাকত ‘এমবিবিএস’। তবে কয়েক দিন ধরেই টিটাগড় থানার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসছিল, ওই চিকিৎসক আদতে ভুয়ো। সেই মতো মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাঁর চেম্বারে হানা দেয়। তদন্তকারীরা পার্থসারথির কাছে তাঁর এমবিবিএস ডিগ্রির শংসাপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। তখন পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় পার্থসারথি স্বীকার করেন, তাঁর এমবিবিএস ডিগ্রি নেই। তবে তিনি বৌবাজার এলাকা থেকে অল্টারনেটিভ মেডিসিনের কোর্স করেছেন। তদন্তকারীরা সেটির শংসাপত্র দেখতে চাইলে তা-ও দেখাতে পারেননি পার্থসারথি। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে টিটাগড় থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় পার্থসারথি আরও জানিয়েছেন যে, এত দিন কেউ কোনও প্রশ্ন না তোলায় বা আপত্তি না জানানোয় তিনি এলাকায় ডাক্তারি করে যাচ্ছিলেন। অন্য দিকে ওই চিকিৎসক যে ভুয়ো, সে কথা জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকেই তাঁর দেওয়া ওষুধ খাচ্ছিলেন। তাঁরা সেই প্রেসক্রিপশন নিয়ে অন্য চিকিৎসকের কাছে ছুটেছেন। কেন ওই ব্যক্তি চিকিৎসক সেজে চেম্বার চালাচ্ছিলেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।