বেহাল: রাস্তা। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
দু’বছর ধরে বেহাল রাস্তাটির মেরামতি ও সম্প্রসারণের কাজ থমকে ছিল। বাধ্য হয়েই বাসিন্দারা নিজেরা ইট, পিচ কিনে রাস্তা সারাই করেছিলেন। মাসখানেক আগে ইট ও বালি বিছিয়ে খানাখন্দ কিছুটা মেরামতি করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। কিন্তু ক’দিনের সামান্য বৃষ্টিতে সে সব উঠে ফের যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে হয়ে পড়েছে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা-হাড়োয়া রোড।
তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই রাস্তাটির সম্প্রসারণের জন্য প্রায় ৩৩ কোটি টাকা এসে পড়ে রয়েছে। রাস্তার দু’পাশে গাছ কাটা নিয়ে সমস্যার জন্য শুরু করা যায়নি কাজ। সেই সমস্যা মিটেছে। ইদের পর গাছ কাটা এবং রাস্তা সম্প্রসারণ শুরু হবে।
বাদুড়িয়া, হাবড়া থেকে বেড়াচাঁপা হয়ে হাড়োয়া উপর দিয়ে কম সময়ে সহজে নিউটাউন পৌঁছনো যায় বলে এই রাস্তাটির গুরুত্ব রয়েছে। এই রাস্তার মাঝেই রয়েছে বারাসত-হাসনাবাদগামী হাড়োয়া রোড স্টেশন। ট্রেনে যাতায়াতের জন্যও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। স্থানীয় মানুষ জানান, সেই রাস্তাটিই পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে।
মোট সাড়ে ১০ কিলোমিটার রাস্তাটি জুড়ে এখন তৈরি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। বেড়াচাঁপার গড়পাড়া এলাকায় বাসিন্দারা জানান, নিরুপায় হয়ে তাঁরা নিজেদের টাকায় ইট, পিচ কিনে রাস্তাটি মেরামতিও করেন। তারপর জেলা প্রশাসন পরিষদ থেকে রাস্তায় কিছুটা তাপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু ফের আগের চেহারায় ফিরে গিয়েছে রাস্তা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার দু’পাশে প্রায় ৩৭৬টি গাছ কাটা নিয়ে সমস্যা ছিল। সেই সমাধান হয়েছে। ১৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৬টি সংস্থা গাছগুলি কাটার অনুমোদন পেয়েছে। ইদের পরে গাছ কাটা শুরু হবে।
এ বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘রাস্তাটি সাড়ে আট মিটার চওড়া হবে। দু’ধারে ফুটপাথ, নিকাশিনালা থাকবে। এর ফলে এলাকাটি যানজট মুক্তও হবে। যারা রাস্তা দখল করে আছে তাদের পুনর্বাসনের বিষয়েও আলোচনা চলছে।’’