প্রতিবাদ: জয়নগর থানার বহুড়ুতে। নিজস্ব চিত্র
আমপানের তাণ্ডবের পরে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ না ফেরায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মানুষজন। বিদ্যুৎ না আসায় পানীয় জলেরও হাহাকার পড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষোভ চরমে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদুড়িয়ার ঈশ্বরীগাছা, যদুরহাটি এবং গুড়দহ গ্রামে একই দাবিতে দফায় দফায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশ, গাছের ডাল ফেলে রাস্তা অবরোধ করেন। বিদ্যুৎ দফতর ও পুলিশ কর্মীদের আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ দিন দুপুর সাড়ে ১০টা নাগাদ বাদুড়িয়া-বেড়াচাঁপা রাস্তায় স্থানীয় ব্লক দফতরে যাওয়ার রাস্তা আটকে ঈশ্বরীগাছায় বিক্ষোভ শুরু হয়। যদুরহাটি হাসপাতালের সামনে এবং খোলাপোতা-মসলন্দপুর রাস্তায় গুড়দহ গ্রামে রাস্তা আটকেও বিক্ষোভ চলে। দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় প্রায় দু’ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রাজেশ শৈল, সালাম মণ্ডল, প্রভাস মণ্ডলরা বলেন, ‘‘আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেলেও অজানা কারণে আমাদের এলাকায় তার জোড়ার কাজ হচ্ছে না। ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ সরানোর কাজ হলেও বিদ্যুতের অভাবে বাড়ির ট্যাঙ্কে বা রাস্তার কলে জল মিলছে না। বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’’
আমপানের পরে জয়নগর ১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ ফেরেনি। প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে বহড়ুর ঢিবের হাটের কাছে কুলপি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ আসা দূরের কথা, অধিকাংশ জায়গায় এখনও কাজই শুরু করেনি বিদ্যুৎ দফতর। পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
বিদ্যুতের দাবিতে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত হাবড়া-গৌড়বঙ্গ রোডের খারো এলাকায় অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। কুমড়া পঞ্চায়েতের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন দাবি গ্রামবাসীদের। স্থানীয় মানুষ নিজেরাই বিদ্যুতের তারের উপরে ভেঙে পড়া গাছপালা পরিষ্কার করেছেন বলেও জানিয়েছেন। পুলিশ বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলে লাইন মেরামতের কাজের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
শুক্রবার বিকেলে একই দাবিতে হাবড়া-গৌড়বঙ্গ রোডের টুনিঘাটা এলাকাতেও কিছুক্ষণের জন্য পথ অবরোধ হয়েছে।