সূচনা: বড়দেবীর পুজোর উদ্বোধনের পরে প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন জেলাশাসক পবন কাদিয়ান। নিজস্ব চিত্র।
ঢাকে কাঠি পড়ল কোচবিহারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার ছ’টি পুজোর উদ্বোধন করলেন। সেই সঙ্গে কোচবিহারের বড়দেবী বাড়ির নিত্যপুজোতেও অংশ নিলেন। সেখানেও হল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন ঘিরে ভিড় জমে যায় মণ্ডপগুলির সামনে। বিশেষত বড়দেবীর পুজো ঘিরে আবেগ রয়েছে জেলায়। সেখানে স্ক্রিনে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান দেখানো হয়। ছিলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান ও জেলা পুলিশ সুপার সানা আকতার। মুখ্যমন্ত্রী বাসিন্দাদের শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানান। জেলাশাসক বলেন, “সকলে যাতে মাস্ক পরেন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সেই অনুরোধ জানাচ্ছি।” তিনি জানান, সমস্ত মণ্ডপ খোলামেলা তৈরির কথা জানানো হয়েছে। প্রশাসন প্রত্যেকটি মণ্ডপ নিয়ম করে মনিটরিং করবে।
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ আমলের দেবীবাড়ির পুজোয় নিয়ম মেনে আট ফুট লম্বা ময়না গাছের ডাল কেটে তা পুজো করা হয়। তা শক্তিদণ্ড হিসাবে কাঠামোয় বসিয়ে তৈরি হয় বড়দেবীর রক্তবর্ণ প্রতিমা। দেবীর একদিকে সাদা সিংহ, অন্যদিকে বাঘ। দু’পাশে জয়া-বিজয়া।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন কোচবিহারের পুরনো পোস্ট অফিস পাড়া, ভারত ক্লাব ও ব্যায়ামাগার, তুফানগঞ্জের নিউটাউন ক্লাব, দিনহাটার শহিদ কর্নার, থানাপাড়া ও মাথাভাঙার সুভাষপল্লির পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বড়দেবীর সঙ্গে কোচবিহারের আবেগ জড়িয়ে আছে। তাই এ দিন বড়দেবীর নিত্যপুজোয় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই পুজোর প্রতিমা তৈরির কাজ এখনও চলছে। ১৭ অক্টোবর ঘটপুজো হবে।
এ দিন দিনহাটার থানাপাড়া সর্বজনীন ও শহিদ কর্নারের পুজো উদ্বোধনে উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে প্রতিমা দর্শনের কথা বলেন উদ্যোক্তারা। দুই পুজোর উদ্বোধনের সময়ে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক রামকৃষ্ণ মালি, দিনহাটা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মানবেন্দ্র দাস, দিনহাটা থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত, পুরসভার কো-অর্ডিনেটর অসীম নন্দী, দুই পুজো কমিটির অন্যতম কর্তাদের অলোক ঘোষ, আনন্দ কর্মকার প্রমুখ।