Cyclone Yaas

কোভিড বিধি মেনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকায় শুরু ‘দুয়ারে ত্রাণ’

আগামী ১৫ দিন খোলা থাকবে ওই শিবির। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার ওই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২১ ২০:০৩
Share:

আবেদনকারীদের থার্মাল গানের মাধ্যমে চলছে পরীক্ষা। নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে চালু হল ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প। আগামী ১৫ দিন খোলা থাকবে ওই শিবির। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার ওই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রথম দিন থেকেই শিবিরগুলিতে কোভিড বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশদে জানাতে পারবেন। নাম নথিভুক্ত হওয়ার হবে তদন্ত। তারপরই সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আর্থিক সাহায্য পাবে ক্ষতিগ্রস্তরা। ১ জুন থেকে ৭ জুনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে আর্থিক সাহায্য। অতিমারি পরিস্থিতিতে প্রতিটি শিবিরে কোভিড স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি শিবিরে আবেদনকারীদের থার্মাল গানের মাধ্যমে পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রেও।

প্রসঙ্গত, ইয়াস ঘূর্ণিঝড় এবং পূর্ণিমার কটালে জলোচ্ছ্বাসের জেরে বাঁধ ভেঙে নোনা জলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। যার চিহ্ন এখনও বিদ্যমান। ভেঙে পড়ে অসংখ্য মাটির বাড়ি। বিঘের পর বিঘে চাষ জমিও চলে যায় জলের তলায়। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন কয়েক হাজার মানুষ। প্রশাসনের হিসাব, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১১টি পুর এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষ। সুন্দরবন এবং উপকূল এলাকা ছাড়াও জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলিতে সব মিলিয়ে মোট ৩৮টি 'দুয়ারে ত্রাণ' শিবির তৈরি চালু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement