শুক্রবার এবিভিপির স্মারকলিপি জমা দেওয়া ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা হিন্দু কলেজ।
গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজে এবিভিপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গণ্ডগোলের ঘটনায় ৮ জন বিজেপি কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করেছে গোবরডাঙা থানার পুলিশ। শনিবার তাঁদের বারাসত আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালত চত্বরে ঢোকার সময় গাড়ির ভেতরেই স্লোগান তোলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
শুক্রবার এবিভিপির স্মারকলিপি জমা দেওয়া ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা হিন্দু কলেজ। এবিভিপি ও টিএমসিপির সংঘর্ষে জখম হন ১০ জন। ভাঙচুর করা হয় ১৭টি মোটর বাইক। ভাঙচুর চালানো হয়েছে কলেজের কয়েকটি ঘরেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাবড়া ও গোবরডাঙা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
বারাসত জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অনুপ দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর দাবি, শুক্রবার রাতে নির্দোষ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আসলে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা হয়েছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে। আর উল্টে বিজেপির কর্মীদেরই গ্রেফতার করছে পুলিশ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এখন কোনও মানুষের সমর্থন নেই। বিজেপি ভোটে জিতবে, এই ভয়ে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি কর্মীদের ফাঁসাচ্ছে।’’ দু’পক্ষের সংঘর্ষে কেন শুধু এভিবিপির সমর্থকরা গ্রেফতার হল, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এভিবিপির ছাত্র নেতা উৎপল রায়।
আরও পড়ুন: ভেন্টিলেশনে কত ঘন্টা, কবে বাড়ি যাব? বুদ্ধদেবের প্রশ্ন চিকিৎসকদের
অন্য দিকে তৃণমূল নেতা শংকর দত্ত জানান,‘‘গতকাল বিজেপির ছেলেরা ঝামেলা করতেই কলেজে ঢুকেছিলো,তাই বাকিদেরও গ্রেফতার এর দাবি জানাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: মধু-ওয়াইন যোগে সুরাপান, পড়ে গিয়ে মৃত্যু আর্যার? প্রাথমিক অনুমান পুলিশের