Bhangar

গ্রিন অটো চালাতে ফের সমস্যা ভাঙড়ে

অভিযোগ ভাঙড়ের জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির মদতে গ্রিন অটো চালাতে বাধা দিচ্ছেন বেআইনি ডিজেল অটো চালকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা  

ভাঙড় শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২১ ০০:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রশাসনের নির্দেশে অটো চালাতে গিয়ে ফের বাধার সম্মুখীন হলেন পরিবেশ বান্ধব গ্রিন অটো চালকেরা। তাঁদের মারধর করে অটো ভাঙচুর করার অভিযোগও ওঠে বেআইনি ডিজেল অটো চালকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার বোয়ালঘাটা এলাকায়। এই ঘটনার পরে দুই অটো ইউনিয়নের লোকজন শ্যামনগর ও পোলেরহাটে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

Advertisement

রুট পারমিট থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ বান্ধব গ্রিন অটো চালাতে পারছেন না চালকেরা। ভাঙড় ২ ব্লকের কাঁঠালিয়া থেকে বোয়ালঘাটা ও পাকাপোল বাজার থেকে বোয়ালঘাটা দু’টি নতুন অটো রুট চালু হয়। অভিযোগ ভাঙড়ের জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির মদতে গ্রিন অটো চালাতে বাধা দিচ্ছেন বেআইনি ডিজেল অটো চালকেরা। এক সময়ে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড বিরোধী জমি আন্দোলন শুরু করেছিলেন জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি। সেই কমিটির বিরুদ্ধেই এ বার পরিবেশবিধি ভঙ্গে মদত দেওয়ার অভিযোগ করছেন গ্রিন অটো চালকদের একাংশ। দিন কয়েক আগে সংবাদপত্রে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ভাঙড় ২ ব্লক প্রশাসনের কর্তারা দু’পক্ষের অটোচালক, জনপ্রতিনিধি ও জমি কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসে। সেখানে ঠিক হয়, বৃহস্পতিবার থেকে ৭০টি গ্রিন অটোর মধ্যে আপাতত ১০টি অটো বোয়ালঘাটা পর্যন্ত যাবে। বাকি ৬০টি গ্রিন অটো পোলেরহাট পর্যন্ত যাবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে বাকি অটোগুলিও বোয়ালঘাটা পর্যন্ত যাবে।

প্রশাসনের নির্দেশ মেনে এ দিন সকাল থেকে দশটি গ্রিন অটো বোয়ালঘাটা পর্যন্ত চালাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। বেআইনি ডিজেল অটো চালকেরা তাঁদের মারধর করে অটো ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পরে গ্রিন অটো চালকেরা পোলেরহাটে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পোলেরহাটে বেআইনি ডিজেল অটো চালাতে বাধা দেন তাঁরাও। এই ঘটনার প্রতিবাদে ডিজেল অটো চালকেরা আবার শ্যামনগরে রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, দুই অটো ইউনিয়নের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন।

Advertisement

জমি কমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কারও পেটে লাথি মেরে তো আর এই কাজ হতে পারে না। দীর্ঘ দিন ধরে বহু বেকার যুবক ডিজেল অটো চালাচ্ছেন। প্রশাসন এই সমস্ত ডিজেল অটো চালকদের সুযোগ দিতে পারত গ্রিন অটো কেনার জন্য। এ জন্য তাঁদের কিছু দিন সময় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু প্রশাসন তা না করে নতুন রুট চালু করে কিছু গ্রিন অটো ঢুকিয়ে দিয়েছে। হঠাৎ করে ডিজেল অটো বন্ধ করে দিলে এই সমস্ত বেকার যুবকেরা কোথায় যাবেন?’’

গ্রিন অটোচালক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নিজামউদ্দিন বলেন, ‘‘অনেক বেকার ছেলে ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে সরকার অনুমোদিত গ্রিন অটো কিনেছে। রুট পারমিট থাকা সত্ত্বেও জমি কমিটি ও ডিজেল অটো চালকেরা আমাদের অটো চালাতে দিচ্ছেন না। প্রশাসনিক পর্যায়ে বৈঠকের পরে আমাদের দশটি অটো চালাতে দেওয়ার কথা বলা হয়। সেই নির্দেশ মেনে অটো চালাতে গিয়েও আমাদের বাধা দেওয়া হল।’’ ডিজেল অটো ইউনিয়নের সভাপতি নাজির মোল্লা বলেন, ‘‘প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, আমাদের কিছু দিন সময় দেওয়া হোক গ্রিন অটো কেনার জন্য। কিন্তু তা না করে প্রশাসন গ্রিন অটো চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। যা আমাদের অন্য চালকেরা মানতে নারাজ। সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement