— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ক্লাসের শুরুতে রোলকলের সময়ে পড়ুয়াদের হাত তুলে উপস্থিতি জানান দেওয়ার পাট এ বার চুকতে চলেছে। কারণ, ফলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রীতিমতো কর্পোরেট ধাঁচে হাজিরা নেওয়ার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। সে জন্য স্কুলে বসানো হয়েছে ‘ফেস রেকগনিশন অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম’। পড়ুয়ারা ওই মেশিনের সামনে দাঁড়ালেই তাদের হাজিরা নথিভুক্ত হয়ে যাবে।
বুধবার, সরস্বতী পুজোর দিন থেকে এই প্রযুক্তি চালু হচ্ছে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ে প্রাক্ প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ৪৩৯ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ক্লাস শুরুতে রোলকল করতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট হয়। নতুন এই পদ্ধতিতে সেই সমস্যা থাকছে না। তা ছাড়া, কোনও পড়ুয়া মেশিনের সামনে দাঁড়ালে সে কখন স্কুলে ঢুকছে বা বেরোচ্ছে— স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সেই বার্তা চলে যাবে অভিভাবকদের মোবাইলে। স্কুলে মিড-ডে মিল খাওয়ানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হিসাব করতে হয়। এ বার সেই ঝামেলাও কমতে চলেছে। সম্প্রতি বেশ কিছু স্কুলে ডিজিটাল আইডেন্টিটি কার্ডও চালু হয়েছে। ওই কার্ড মেশিনে ছোঁয়ালেই উপস্থিতি নথিভুক্ত হয়ে যায়। তবে ফলতার ওই স্কুলে তার চেয়েও উন্নত প্রযুক্তির মেশিন বসল।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর বলেন, ‘‘এক সপ্তাহ আগে থেকে এর প্রস্তুতি
চলছিল। ইতিমধ্যেই স্কুলে দু’টি মেশিন বসানো হয়ে গিয়েছে। সমস্ত ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখের ছবি তাতে আপলোড করা হয়েছে। এ বার থেকে স্কুল ঢুকে মেশিনের সামনে দাঁড়ালেই কম্পিউটারে সমস্ত তথ্য ভেসে উঠবে। তার নাম, মোবাইল নম্বর— সব বিশদে জানা যাবে।’’