প্রতীকী ছবি।
কাটমানি ও দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে বারুইপুরের বেলেগাছিতে। সইফুদ্দিন মোল্লা নামে ওই উপপ্রধান তৃণমূলের স্থানীয় নেতা। এ দিন এলাকার হাজার দু’য়েক বাসিন্দা তাঁর বাড়ি ঘেরাও করলেও তার আগেই তিনি পালিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আগের পঞ্চায়েত বোর্ডে প্রধান ছিলেন সইফুদ্দিনের স্ত্রী নুরবালা বেগম। সেই বোর্ডে অবশ্য সইফুদ্দিন পঞ্চায়েতের কোনও পদে ছিলেন না। কিন্তু তখনই তিনি সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আরও অভিযোগ, সইফুদ্দিন বিভিন্ন সরকারি জমি দখল করে দিনের পর দিন সেখানে লোক লাগিয়ে চাষ করিয়েছেন। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগও উঠেছে সইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, ইন্দিরা আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে বাড়ি বণ্টনের কাজ করতে গিয়ে সইফুদ্দিন কাটমানি নিয়েছেন। এ ছাড়া, সরকারি প্রকল্পের নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করেছেন।
এ দিন সকাল থেকেই মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে হাজার দু’য়েক মানুষ সইফুদ্দিনের বাড়ির সামনে এসে মাইকে স্লোগান দিতে থাকেন। সকাল আটটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। পরে পুলিশের একটি বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়ায় বিক্ষোভ বন্ধ হয়। তবে সইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তাদের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই দাবি পুলিশের। বারুইপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। কাটমানি বা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলীয় স্তরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সইফুদ্দিনকে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি। জবাব আসেনি এসএমএসের।