সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হাড়গোড়। — নিজস্ব চিত্র।
সম্পত্তির লোভে দিদিমা এবং প্রতিবন্ধী মামাতো ভাইকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ভরে রাখার অভিযোগ নাতনি এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ খুনের অভিযোগে নাতনি সুস্মিতা দাস এবং তাঁর স্বামী সুশান্ত দাসকে গ্রেফতার করেছে।
সোনারপুর থানা এলাকার জগদ্দল এলাকায় বাড়ি প্রৌঢ়া গঙ্গারানি দাসের। তাঁর কাছেই থাকতেন বিশেষ ভাবে সক্ষম তাঁর এক নাতি। এ ছাড়াও গঙ্গারানির কাছেই থাকতেন তাঁর আরও এক নাতনি সুস্মিতা এবং তাঁর স্বামী সুশান্ত। অভিযোগ, সুস্মিতাই স্বামী সুশান্তকে সঙ্গে নিয়ে দিদিমা এবং মামাতো ভাই ২৫ বছরের মানসরঞ্জন দাসকে খুন করে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ভরে রেখেছিলেন। শনিবার সেই রহস্য ফাঁস হয় প্রিয়াঙ্কার মায়ের উপস্থিতিতে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মাস দু’য়েক ধরে ৭৫ বছরের গঙ্গারানিকে দেখা যায়নি। শনিবার মায়ের খোঁজ নিতে জগদ্দলে আসেন তাঁর মেয়ে। মা গঙ্গারানির সঙ্গে সম্পর্ক ভাল না মেয়ের। আবার এই গঙ্গারানির বাড়িতেই স্বামীকে নিয়ে থাকেন তাঁর মেয়ে সুস্মিতা। শনিবারও সুস্মিতা এবং তাঁর স্বামী সুশান্ত তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গঙ্গারানির এক বোনও। তখন প্রিয়াঙ্কার মা প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েন। কিন্তু তাঁর সন্দেহ হয় বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের নতুন ঢালাই দেখে। প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়েই ঢালাই ভাঙা হয়। দেখা যায়, সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে ঢোকানো রয়েছে গঙ্গারানি এবং মানসরঞ্জনের কঙ্কাল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মাসখানেক আগে তাঁদের খুন করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, দিদার সম্পত্তির উপর নজর ছিল সুস্মিতার। সে জন্যই গঙ্গারানি এবং মানসরঞ্জনকে খুন করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।