মন্মথ মণ্ডলের খুনে রাজনৈতিক যোগ নেই বলে দাবি ছেলে কমলেশ মণ্ডলের। — নিজস্ব চিত্র।
দত্তপুকুরে জমি ব্যবসায়ী খুনে এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের কাশিমপুর নতুনপাড়ার খেজুরতলায় খুন হন মন্মথ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। মন্মথের পরিবারের দাবি, রাজনীতির সঙ্গে এই খুনের কোনও যোগ নেই। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছেন, এই খুনে জড়িত তৃণমূল। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শাসকদলের নেতারা।
মন্মথ খুনে মানিক ব্যাপারী নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। তাঁর নাম রয়েছে এফআইআরে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এর পিছনে আর কারও হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের ছেলে কমলেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘কারা বাবাকে গুলি করেছে তা বলতে পারব না। তবে রিপন শীল, মানিক ব্যাপারী এবং সুরজিৎ রায় প্রতিনিয়ত বাবাকে হুমকি দিত। তারা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কি না বলতে পারব না। তারা পাড়ায় তোলাবাজি করে। তারাই বাবাকে খুনের হুমকি দিত।’’
তৃণমূলকে মন্মথ খুনে দোষারোপ করছে বিজেপি। বারাসতের বিজেপি সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, ‘‘মন্মথ মণ্ডল কৃষক পরিবারের সন্তান। উনি আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী এবং দক্ষ সংগঠক ছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে উনি দলের হয়ে কাজ করেছিলেন। সেই আক্রোশেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’’
বিজেপির বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের বারাসত এলাকার সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায়ের বলেন, ‘‘ভদ্রলোক জমির দালালি করতেন। তার জেরেই এই নির্মম পরিণতি। বিজেপি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। তদন্ত হলে অপরাধী ধরা পড়বে। জমিকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ বিবাদ থাকে। তার জেরেই খুন বলে মনে হচ্ছে।’’
মন্মথ রাজনৈতিক কারণে খুন হননি বলে দাবি করেছেন তাঁর ছেলে কমলেশও। তিনি বলেন, ‘‘বাবার একটা ফোন এসেছিল। বাবা কোনও অচেনা লোকের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরোননি। চেনা লোকের ফোন পেয়েই বেরিয়েছিলেন। বাবা সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করেননি। আর এই খুনও রাজনৈতিক কারণে ঘটেনি।” তিনি আরও বলেন, “আমি চাই, দোষীরা শাস্তি পাক। প্রয়োজনে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক তদন্তভার। আমাদের পরিবার যেন জলে ভেসে না যায়। কারণ আমাদের পরিবারে বাবাই একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন।’’