Cyclone Yaas

Cyclone Yaas: ঝোড়ো হাওয়ায় নদী বাঁধ উপচে নোনাজল ঢুকছে সুন্দরবনের গ্রামে, সরানো হল বহু মানুষকে

নিম্নচাপের জেরে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায়। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাগর শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২১ ১৩:১৩
Share:

সাগরদ্বীপের গ্রামে ঢুকেছে জল। নিজস্ব চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এখনও আছড়ে পড়েনি। কিন্তু নিম্নচাপের জেরে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায়। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। এর জেরে একাধিক নদীর বাঁধ উপচে নোনাজন ঢুকে পড়েছে গ্রামের মধ্যে। সাবধনতা হিসাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হচ্ছে ফ্লাড সেন্টারগুলিতে।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় নদী দিয়ে ঘেরা। ইয়াস পৌঁছনোর আগেই সেই নদীগুলো রীতিমতো ফুঁসছে। বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। এর জেরে সাগরদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, ক্যানিং এলাকার বিভিন্ন নদী বাঁধ উপচে গ্রামগুলিতে ঢুকছে নোনাজল।

রায়দিঘির ডোমকল এলাকায় ঠাকুরান নদীর বাঁধ উপচে প্লাবিত গ্রাম। নিজস্ব চিত্র।

নামখানার অমরবতী এলাকা ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে বাঁধ উপচে আসা নোনাজলে। বঙ্গোপসাগরের জল ঢুকে প্লাবিত করেছে নামখানার কলিস্তান এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম। রায়দিঘির ডোমকল এলাকায় ঠাকুরান নদীর বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে ৪-৫টি গ্রামে। পাশাপাশি সাগরের মহিষামারি নদীতেও দেখা দিয়েছে জলস্ফীতি। সেখানকারও বহুগ্রামে ঢুকেছে জল। ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার চৌরাস্তার পাত্রপাড়া এলাকাতেও বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। এই সব এলাকার প্রায় দু’লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনের তরফে।

Advertisement

নামখানার অমরাবতীতে বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে লোকালয়ে। নিজস্ব চিত্র।

ঝোড়ো হাওয়া এবং সমুদ্র নদী ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সুন্দরবনের মাটির বাঁধগুলি। সে গুলিকে রক্ষা করতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এ জন্য প্রশাসনের তরফে কালো প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে মাটির বাঁধগুলিকে। এর জেরে কিছুটা হলেও গ্রামবাসীদের রক্ষা করা যাবে বলে মনে করছে প্রশাসনের কর্তারা।

ঝোড়ো হাওয়ায় উত্তাল নদী। নিজস্ব চিত্র।

কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে মোট ১৭টি নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করা হয়েছে। করোনা বিধি মেনে সেখানে মঙ্গলবার কয়েক হাজার মানুষকে সেই সব জায়গায় সরানো হয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যে আরও কয়েক হাজার মানুষকে ওই আশ্রয়স্থলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে, মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবারও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement