হিঙ্গলগঞ্জের গ্রামে দখল নেওয়া সিপিএম কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর শপথ নেওয়ার পরেও উত্তর ২৪ পরগনায় সেই হিংসা বন্ধ হল না।
রবিবার বিকেলে হিঙ্গলগঞ্জের গোবিন্দকাটি গ্রামে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল ওই কার্যালয়টিতে নিজেদের দলীয় পতাকা লাগিয়ে দখল করেছে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার তীব্র সমলোচনা করে সিপিএম। সিপিএম নেতা জয়ন্ত সরকার বলেন, ‘‘হিঙ্গলগঞ্জ জুড়ে আমাদের দলীয় কর্মী, সমর্থকদের উপর হামলা শুরু করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পুলিশকে বলব যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।’’
এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘দল জেতায় বিভিন্ন দল থেকে বহু মানুষ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। তাঁদের স্বাগত। কিন্তু তাই বলে কোনও অন্যায়কে মেনে নেবে না দল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সনাক্ত করতে পারলে এঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই ভাবে পুলিশকেও বলা হয়েছে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।’’
ফল প্রকাশের পর থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় যে ভাবে সন্ত্রাস বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন পুলিশ ও প্রশাসন।
সোমবার দেগঙ্গার চাঁপাতলা গ্রাম প়ঞ্চায়েতের কলবাড়ি এলাকায় শাসকদল ও বিরোধীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ আর বোমাবাজিতে আহত হন আশাদুল ইসলাম, সুকুর আলি, সহিদুল ইসলাম নামে তিন গ্রামবাসী। ওই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে কয়েকটি বোমাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে দু’পক্ষই।