Diamond Harbour

আয়ারাম-গয়ারামের রাজনীতি করছে তৃণমূল-বিজেপি, অভিযোগ শমীকের

শমীক বলেন, ‘‘এত দিন পর্যন্ত চোরেদের ধরার জন্য পুলিশ ছিল। আর তৃণমূল সরকারের সময় চোরেদের রক্ষা করার জন্য পুলিশ।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২১ ২০:৪৩
Share:

মগরাহাটে শমীক লাহিড়ী। নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের দলত্যাগীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী। তিনি মঙ্গলবার বিকেলে মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ধামুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে প্রতিবাদ সভায় বলেন, ‘‘ওরা ভাবছে এতদিন তৃণমূলের হয়ে চুরি করেছি। এ বার নৌকা ডুবেছে, এখন বিজেপির নৌকায় উঠে চুরি করব। তৃণমূলটা বিজেপি হয়ে গেল, নাকি বিজেপি-টা তৃণমূল হয়ে গেল!’’

Advertisement

আমপান-সহ একাধিক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে ডেপুটেশন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল সিপিএম। সেই সভা থেকেই তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তিনি। নাম না করে সৌমিত্র-সুজাতাকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি। শমীক বলেন, ‘‘কে কোন দলে গেল, আর পাল্টা কার বউ কোন দলে গেল! এটা রাজনৈতিক দল না বাপের বাড়ি, শ্বশুর বাড়ি!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের যখন সরকার, তখন আমরাতো জেলা পরিষদে হেরেছি। আমরা কি গায়ের জোরে জেলা পরিষদ কেড়ে নিতে গিয়েছি! নাকি পয়সা দিয়ে গরু-ছাগলের মত কেনাবেচা করেছি। রাজনীতিতে আয়ারাম-গয়ারামদের মানুষ ঘৃণা করে।’’

রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে শমীক বলেন, ‘‘এত দিন পর্যন্ত চোরেদের ধরার জন্য পুলিশ ছিল। আর তৃণমূল সরকারের সময় চোরেদের রক্ষা করার জন্য পুলিশ। পুলিশ-প্রশাসনের অনেকের মনেই দুঃখ। ইচ্ছার বিরুদ্ধেই অনেককে কাজ করতে হয়।’’

Advertisement

শমীকের অভিযোগ নস্যাৎ করে পাল্টা সিপিএমের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন সাংসদ তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘৩৪ বছর চুরি করে আবার বড়বড় কথা বলছে। তলিয়ে ভাবুক সিপিএম। দলবদল ওরাও কম করেনি। তমলুকের অশোক দিন্দা, মালদহের দিপালী বিশ্বাস, হলদিয়ার মধুরিমা মণ্ডলেরা কোন দলের লোক ছিল? মানুষ সব জানে। মিথ্যে নাটক করে কোনও লাভ নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement