—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভোটের দিন বাগদা ব্লকের নওদাপাড়া এলাকায় সিপিএম ও নির্দল প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে দা ও রডের মতো অস্ত্র এনে হামলা চালানো হয়েছে। পাল্টা প্রতিরোধ হয়। জখম হয়েছেন দু’পক্ষের অনেকে। বিরোধীদের অভিযোগ, বুথে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। গোলমালের সময়ে দু’জন মাত্র সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। অন্য দিকে, কংগ্রেস প্রার্থী জলিল মণ্ডল ও তাঁর এজেন্ট আজাদ সাহাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েতের পুস্তিঘাটার ৯ নম্বর বুথ এলাকায়। আজাদ জানান, গ্রামের মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে তিনটি ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেন। সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান, তৃণমূলের সৌমেন ঘোষ বলেন, “কংগ্রেস প্রার্থী ও তাঁর কর্মীরাই ঝামেলা করেছে। বাগদার বিজেপি নেত্রী তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী বিভা মজুমদারকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আকাইপুরের কামদেবপুরে তৃণমূল গোলমালের চেষ্টা করলে বিরোধীরা প্রতিরোধ করে। তৃণমূলের দাবি, বিরোধীরা ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিল। তারা প্রতিবাদ করেছে। বৈরামপুর পঞ্চায়েতের মেহেরপুর এলাকায় ৭টি বুথে সিপিএম প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস করে শাসক দল বুথে বসতেই দেয়নি বলে অভিযোগ বনগাঁর সিপিএম নেতা পঙ্কজ ঘোষের। ওই সব বুথে অবাধে ছাপ্পা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, সিপিএম প্রার্থী খুঁজে পায়নি। বাইরে থেকে ধরে এনে প্রার্থী করা হয়েছিল। তাঁরা আসেননি। গঙ্গানন্দপুর এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের মারধর করা বলে অভিযোগ। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটের মধ্যে বিরোধীরা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছিল। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন।” গাইঘাটার ইছাপুর ১ পঞ্চায়েতের ১৩০ নম্বর বুথে এক বিজেপি কর্মী ব্যালট বাক্স লুট করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ মানেনি বিজেপি।