ফাইল চিত্র।
রাজস্থানের কোটায় আটকে থাকা কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ১৮০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে ফিরিয়ে আনল রাজ্য সরকার। শুক্রবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বাসে ওই সব ছাত্রছাত্রীকে জেলা সদর বারাসতে আনা হয়। বারাসত স্টেডিয়ামে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে সবাইকে শনিবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। এ দিন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কোয়রান্টিনের নিয়ম মেনে ওই ছাত্রছাত্রীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ মোট ১০১টি বাসে করে এ রাজ্যের ২৩৬৮ জন ছাত্রছাত্রীকে কোটা থেকে ফেরানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে এ দিন জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রছাত্রীরা কোটার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য গিয়েছিলেন। সরকারের তরফে তাঁদের কোটা থেকেই বিশেষ সতর্কতায় বাসে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের মধ্যে কলকাতা, শহরতলি-সহ বিধাননগরের ৪১ জন, বারাসতের ৪৬ জন, ব্যারাকপুরের ৭৪ জন, বনগাঁর ৮ জন এবং বসিরহাট মহকুমার ১৪ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের নিয়ে বাস বারাসতে পৌঁছতেই স্টেডিয়ামের একটি অংশ ঘিরে ওই ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
অন্য দিকে জম্মু ও কাশ্মীর বেড়াতে গিয়ে সেখানে ১৪ জনের একটি দলও আটকে পড়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন বারাসতের নবপল্লির বাসিন্দা অরিজিৎ দাস নামে এক গৃহশিক্ষক। ওই পর্যটক দলে চারটি শিশু-সহ ছ’জন মহিলাও রয়েছেন। ১৫ মার্চ বেড়াতে গিয়ে তাঁদের ৩০ মার্চ ফেরার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের জন্য ২৫ মার্চ থেকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে একটি হোটেলে আটকে রয়েছেন অরিজিতেরা।
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা, দেশে মৃত্যু বেড়ে ১২২৩
স্থানীয় পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে তাঁদের খাওয়ার ও অন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অরিজিৎ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কবে, কী ভাবে বাড়ি ফিরবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সবাই। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন ওই দলের আর এক সদস্য তপন দাস। এ দিন ওই ঘটনা জানার পরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘যাঁরাই এ ভাবে আটকে রয়েছেন, সরকারি হেল্পলাইনে তা জানার পরে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’