প্রতিবাদ: খাবারের দাবিতে পথে। বসিরহাটে ছবিটি তুলেছেন নির্মল বসু
ঘরে রেশনের বিনামূল্যের চালটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। শিশুদেরও কোনও খাবার নেই। খিদের জ্বালায় বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে। গৃহপালিত পশুরও পেটে দেওয়া যাচ্ছে না দানাপানি। বাড়ির পুরুষদেরও কাজ গিয়েছে।
সেই জন্যই লকডাউনের মধ্যেই সোমবার ফাঁকা রাস্তাই অবরোধ করে বসে থাকলেন বসিরহাটের পিঁফার কয়েকটি কারখানার শ্রমিক-পরিবার।
তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনে তাঁদের জীবিকা গিয়েছে। টান পড়েছে পেটে। শিশুদের অভুক্ত থাকার যন্ত্রণা আর ঘরে বসে চোখে দেখেতে পারছেন না তাঁরা। তাই লকডাউন ভেঙে খাবারের দাবিতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে, থালা হাতে বিক্ষোভ দেখান মহিলা ও শিশুরা। প্রশাসন তাঁদের খাদ্যের আশ্বাস দেওয়ার পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।সোমবার সকালে বসিরহাট-ন্যাজাট রোডের পিঁফা তেঁততুলতলা এলাকায় ঘণ্টাখানেক এই বিক্ষোভ চলে। সেলাই কারখানার শ্রমিক আফরোজা বেগম-সহ অন্যান্য অবরোধকারীরা জানান, তাঁদের সঞ্চয়ের সব টাকা শেষ। রেশনে পাওয়া চাল-গম ছাড়া ঘরে তেল-নুনের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসও আর নেই।
পিঁফা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আলমগির মণ্ডল বলেন, “এলাকার অধিকাংশ মানুষ দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়। চাল-আটার পাশাপাশি রেশনে যাতে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়, তার চেষ্টা চলছে।”