Coronavirus

পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় বেরনো কমল না

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশের দাবি, নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া রবিবার তেমন কেউ রাস্তায় বেরোননি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০৪:০১
Share:

নজরদারি: নদিয়া সীমান্ত থেকে হাবড়া ও অশোকনগর আসার প্রধান সড়কে নাকাবন্দি করা হয়েছে। ছবি: সুজিত দুয়ারি

স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে প্রশাসন থেকে বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কমপ্লিট লকডাউনে ওই এলাকাগুলিতে বাজার বন্ধ করার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। বাড়ি থেকে বেরোনো এখন ঝটকায় প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে।

Advertisement

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশের দাবি, নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া রবিবার তেমন কেউ রাস্তায় বেরোননি। তবে ঢিলেঢালা ছবি এখনও বহু জায়গাতেই। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর দুই ২৪ পরগনাকে রেড জ়োনে রেখেছে। রবিবারও দুই জেলায় সকালে বাজারে ভিড় আটকানো গেল না বহু এলাকায়। ধরপাকড়, নাকা চেকিং কোনও কিছু করেই জনতাকে বাড়ির বাইরে বেরনো থেকে আটকাতে পারেনি। তবে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রবিবার হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বেশিরভাগই হয় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন, না হয় মামুলি কেনাকাটা সারতে। হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ শনিবার বিকেলে ঘোষপাড়া থেকে দোকান খোলার জন্য দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। রবিবার ব্যারাকপুরের এক বাসিন্দার করোনা-রিপোর্ট পজ়িটিভ হয়। তারপরে ওই এলাকার সব পরিবারকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। আশপাশের এলাকাতেও এ দিন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই এলাকা বাঁশ দিয়ে সিল করতে শুরু করেছেন। রবিবার ভিড় সামলাতে নিজেই হাতে লাঠি তুলে নিলেন ক্যানিং ১ বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে। এ দিন ক্যানিং ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। মোট পাঁচটি জায়গায় বাঁশের ব্যারিকেড করে চলছে চেকিং। তবুও রাস্তায় অটো, টোটো, সাইকেল, ভ্যান সবই চলছে। রাস্তায় বের হওয়ায় যথাযথ কারণ দেখাতে না পারায় বেশ কয়েকজনকে লাঠিপেটা করেন বিডিও নিজেই। ন’টি মোটর ভ্যান, বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল বাজেয়াপ্ত করা হয়।

Advertisement

এ দিকে, জয়নগরের যে নার্সিংহোমে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল, সেখানকার চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের করোনা-রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আতঙ্ক ছড়ানোর পর থেকে ওই এলাকায় জনতার বাইরে বেরোনো অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। পুলিশও কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। গ্রামীণ এলাকার বাজারগুলিতে ভিড় হলেও পুরএলাকা আগের থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement