প্রতীকী ছবি
স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল স্বামী। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার পান্তাপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাগরী বিবি (২৭)। মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় তাঁর স্বামী মন্টু মোল্লা সাগরীকে কুড়ুল দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। সে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই লকডাউনের মধ্যেও সে কোথা থেকে মদ পেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মানুষজন।
মন্টু একটি মুরগি খামারে কাজ করে। লকডাউনের জন্য আপাতত তার কাজ নেই। অভিযোগ, সে মাঝেমধ্যেই মদ খেয়ে বাড়িতে গোলমাল করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে মদ খেয়ে বাড়ি ফেরে মন্টু। তা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বচসা বাধে তার। সে মারধর শুরু করে। এরই মধ্যে একটি কুড়ুল নিয়ে মন্টু তার মা-কে তাড়া করে। তা দেখে স্বামীকে বাধা দিতে যান সাগরী। মন্টু তখন মা-কে ছেড়ে দিয়ে সাগরীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কুড়ুল দিয়ে স্ত্রীকে বার কয়েক কোপায়। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পড়শিরা। ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় মন্টু। সাগরীকে রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে, মন্টু আর বাড়ির বাইরে বেরোয়নি। শেষ পর্যন্ত পাড়ার লোকেরা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার হুমকি দেন। সে সময়ে ঘরে রাখা কীটনাশক খেয়ে নেয় সে। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সুস্থ হলে মন্টুকে গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর বারো আগে গোবরডাঙার সাগরীকে বিয়ে করে মন্টু। অভিযোগ, অন্য সময়েও সে প্রায়ই মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে স্ত্রী ও সন্তানদের মারধর করত। তা নিয়ে আগেও অশান্তি হয়েছে। লকডাউনের জেরে কাজ না থাকায় এমনিতেই মানসিক ভাবে অস্থির ছিল সে।
লকডাউনে মদের দোকান বন্ধ। তারপরে কী করে মন্টু নিয়মিত মদ পাচ্ছিল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। পুলিশ জানিয়েছে, নিয়মিত অভিয়ান চালিয়ে বেআইনি ভাবে মজুত মদ বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে ওই এলাকাতেও তল্লাশি হবে। যারা মদ বিক্রি করছে, তাদের গ্রেফতার করা হবে।