প্রতীকী ছবি।
হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস না দিয়েও এক মহিলার মোবাইলে মেসেজ এসেছে, নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ বনগাঁ শহরের চাঁপাবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা এক মহিলার। তদন্তের দাবি করে মহিলার ছেলে বনগাঁর পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা ডায়াবেটিসের রোগী। সোমবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক দেখাতে যান। চিকিৎসক তাঁকে করোনা পরীক্ষা করাতে বলেন। মহিলার ছেলে জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে মায়ের নাম, মোবাইল নেওয়া হয় করোনার পরীক্ষা করা হবে বলে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার মহিলার লালারস সংগ্রহ করা হবে। কিন্তু পরিবারে একজনের মৃত্যু হওয়ায় তিনি মঙ্গলবার হাসপাতালে লালারস দিতে যেতে পারেননি।
মহিলা বলেন, ‘‘আমি করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস বা রক্ত কিছুই দিইনি। অথচ মঙ্গলবার সকালে মোবাইলে মেসেজ এসেছে, নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’’
পুরপ্রশাসক বলেন, ‘‘প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ওই অভিযোগের তদন্তের দাবি করেছি।’’ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হাসপাতাল সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ। ওঁর বুঝতে ভুল হয়েছে। লালারস পরীক্ষার আগে আমরা নাম নথিভুক্ত করতে মানুষের নাম, মোবাইল নম্বর নিই আইডেন্টিফিকেশনের জন্য। যা আইসিএমআরে আপডেট করতে হয়। মহিলার মোবাইলে আইডেন্টিফিকেশন নম্বর গিয়েছে।’’
এ দিকে, বুধবার দুপুরের পর হাসপাতালের এইচডিইউ ইউনিটে ফের রোগী ভর্তি শুরু করা হয়েছে বলে সুপার জানিয়েছেন। ওই ইউনিটে ভর্তি এক বৃদ্ধ সোমবার করোনা পজ়িটিভ হন। তারপর থেকে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে বৃদ্ধকে ব্যারাকপুরে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিন ইউনিটটি জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।