প্রতীকী ছবি।
যুবকের দেহে মিলল না করোনাভাইরাস। দিন কয়েক আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক দেখাতে গিয়েছেন এক যুবক। মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখে ওষুধপত্র লিখে দেন। প্রেসক্রিপশনে ‘করোনা সাসপেক্ট’ লেখা হয়। অভিযোগ, এরপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেনি। করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর লালারসও সংগ্রহ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। হাসপাতাল থেকে ওই যুবক গাইঘাটার এক গ্রামে যান। স্থানীয় মানুষ তাঁকে তাড়িয়ে দেন। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে যুবক চাঁদপাড়া ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নেন। পরে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুরের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সুপার শঙ্কর প্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘শুক্রবার ওই যুবকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আমরা জানতে পেরেছি। তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’’
গাইঘাটার এক বাসিন্দা দিন কয়েক আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাঁর পরিবারের দু’জনকে এবং এক ব্যবসায়ী লালারস সংগ্রহ করে বেলেঘাটা আইডিতে পাঠায় স্বাস্থ্য দফতর। গাইঘাটার বিএমওএইচ সুজন গায়েন জানান, ওই তিনজনেরই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।