অসচেতন: বাড়ছে করোনা, তবু ভিড় পথে। ছবি: নির্মল বসু
লালারস পরীক্ষায় তিন তিনবার নেগেটিভ হওয়ার পর চতুর্থবার পরীক্ষায় করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেলেন এক পুলিশ অফিসারের। তিনি বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপারের অফিসে কাজ করতেন। বসিরহাটের মাটিয়ার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের ওই অফিসার ১৮ জুন শেষবারের মতো অফিসে এসেছিলেন। ঝড়জলে ভিজেছিলেন। পরে জ্বর আসে।
২৭ জুন বারাসতের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। মঙ্গলবার সেখান থেকে কদম্বগাছি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে মারা গিয়েচেন ওই অফিসার। এই নিয়ে বসিরহাটে ৫ জন পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটল বলে জানিয়েছেন বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই। তিনি বলেন, ‘‘উনি খুবই মিষ্টভাষী এবং অত্যন্ত ভাল মানুষ ছিলেন। করোনায় তাঁর মৃত্যু দুঃখজনক।’’
এ দিকে, ওই পুলিশকর্মীর বাড়ি এবং তাঁর দফতর জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। মাটিয়ার যে বাড়িতে তিনি থাকতেন, সেখানে সকলের লালারস পরীক্ষার পাশাপাশি এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে।
এই নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হল করোনায়, এ কথা জানিয়ে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত তিন দিন আগে ২৪০ জনের করোনা ধরা পড়েছিল। যা বেড়ে ২৮৫ জন হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৯ জন পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ১৮০ জন বাড়ি ফিরেছেন।’’ তিনি জানান, বসিরহাটে ৪২৭টি কোয়রান্টিন সেন্টার করা হয়েছে। তবে করোনা আক্রান্তদের বড় অংশের শরীরে বিশেষ কোনও উপসর্গ না থাকায় তাঁদের গৃহনিভৃতবাসেই রাখা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও শারীরিক দূরত্ববিধি মানছেন না বেশির ভাগ মানুষ। অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিও শিকেয়। পুলিশ-প্রশাসন, পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের পক্ষে মাইকে প্রচার শুরু হয়েছে।