প্রতীকী ছবি।
ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হল কোভিড ইউনিট। হাসপাতালের সামনে একটি চারতলা ভবন করা হয়েছিল রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের রাতে থাকার জন্য। কোভিড রোগীদের সেখানেই রাখা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার অধীনে ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ মহকুমায় প্রায় ৪২ লক্ষ মানুষের বসবাস। সমস্ত এলাকাতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কোনও ব্যক্তির পজ়িটিভ ধরা পড়লেই পাঠানো হচ্ছিল কলকাতার জোকা, ইএসআই, এমআর বাঙুর কোভিড হাসপাতালে। এতে সমস্যায় পড়ছিলেন কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, সাগর, নামখানার বাসিন্দারা। কলকাতার হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যেতে নাজেহাল হচ্ছিলেন তাঁরা। চাপ বাড়ছিল স্বাস্থ্য দফতরেরও।
এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতর ডায়মন্ড হারবারের পুরনো হাসপাতালের সামনে ওই ভবনটিকেই কোভিড হাসপাতাল হিসাবে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৭ অক্টোবর থেকে ইউনিট চালু হয়েছে। নীল-সাদা রঙের ওই চারতলা ভবনে ৮০টি শয্যা আছে। কিন্তু তিনতলা ও চারতলায় এখনও পর্যন্ত লিফটের ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই দোতলা ও একতলায় কোভিড রোগী রাখা হবে। এখন ২৬ জন রোগী এখানে ভর্তি আছেন। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী পরিষেবা দিচ্ছেন।
কোভিড হাসপাতাল চালু হওয়ায় ডায়মন্ড হারবার শহরের মানুষ স্বস্তিতে। পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন বাজারের বাসিন্দা কনক ন্যায়বান বলেন, ‘‘আমার পরিবারের ৩ জনের করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়েছিল। চিকিৎসার জন্য ছুটতে হয়েছিল কলকাতায়। প্রচুর সময় লাগে যাতায়াতে। হাতের কাছেই কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় খুব আশ্বস্ত বোধ করছি।’’ তিনি জানান, পজ়িটিভ হলে ভয় থাকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে। সে সময়ে সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন দিতে হয়। কলকাতা নিয়ে যেতে যেতেই পথে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে পারে।
ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘মূলত প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এই কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে। সাগর, পাথরপ্রতিমা থেকে নদী পার হয়ে কলকাতায় যাওয়ার থেকে ডায়মন্ড হারবারে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা অনেক সহজ হবে। চারতলা ভবনে লিফটের অনুমোদন করা হয়েছে। লিফট চালু হলে ৪৮টি শয্যা বাড়ানো যাবে। ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার ছাড়াও অন্য এলাকার রোগী ভর্তি করা হবে।’’