প্রতীকী ছবি
মুম্বই থেকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে লকডাউনের মধ্যেও মোটর বাইক চালিয়ে বাড়িতে ফিরলেন এক যুবক। শনিবার দুপুরে ভাঙড়ের গ্রামে ফেরেন তিনি। তবে স্থানীয় মানুষ ব্যাপারটা ভাল চোখে দেখছেন না। সংক্রমণের আশঙ্কায় গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। স্থানীয় প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর হস্তক্ষেপে যুবককে নলমুড়ি ব্লক হাসপাতালে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে।
মুম্বইয়ে ছোটখাট ব্যবসা করতেন যুবক। আপাতত ব্যবসা বন্ধ। তাই অনে কাঠখড় পুড়িয়ে ফিরেছেন। জানালেন, ১৪ জন যুবক ৭টি বাইকে মুম্বই থেকে রওনা দেন। তিন দিন বাইক চালানোর পরে পৌঁছন রাজস্থানের জয়পুরে। সেখানে সকলকে আটকে দেয় পুলিশ। পরে জয়পুরের একটি মেডিক্যাল ক্যাম্পে ১৭ দিন কোয়রান্টিনে রাখা হয়। ৪ মে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ফের বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সকলে। ভাঙড়ের গ্রামে ফেরেন ওই যুবক। তার আগে নলমুড়ি ব্লক হাসপাতলে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করান। বাড়ি ফিরে জামা, জুতো সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে দোতলার একটি ঘরে নিভৃতবাসেও ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামের কিছু মানুষ আপত্তি তোলেন। তাঁকে ফের নলমুড়ি ব্লক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তাঁর।
অন্য দিকে, ৫ মে ছত্তিসগড় থেকে দু’টি মোটর বাইকে করে চারজন জীবনতলা থানা এলাকায় নিজেদের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। লকডাউনের আগে তাঁদের একজনের কথায়, ‘‘রাস্তায় বেশ কিছু জায়গায় পুলিশের হয়রানি ছিল বটে। তবে শেষ পর্যন্ত বহুকষ্টে বাড়ি ফিরতে পেরেছি। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী বাড়িতেই নিভৃতবাসে আছি।’’
ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, মোটরবাইকে ফেরা ওই যুবকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অন্য দিকে, তামিলনাড়ু থেকে বাইক চালিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে এক শ্রমিকও আপাতত গৃহবন্দি। মঙ্গলবার হাসনাবাদের গ্রামে ফিরেছেন তিনি। শুরুতে পাড়ায় ঘুরছিলেন। তা নিয়ে আপ্তি জানান পাড়া-পড়শিরা।
বাবা-মাকে দিদির বাড়িতে পাঠিয়ে আপাতত বাড়িতে একাই থাকছেন যুবক। বললেন, “আমাদের এই ছোট্ট একটা ঘরে আলাদা থাকা সম্ভব না। তাই আমি একাই বাড়িতে আছি। বাবা-মা দিদির বাড়িতে আছেন। সময় মতো এসে আমাকে ভাত, জল দিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামের সকলে আপত্তি করায় আর বাইরে যাচ্ছি না।”