Coronavirus

লড়াইয়ে দরকার মনের জোরও

(করোনাজয়ী, নলমূড়ি ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসক)আগে থেকেই অবশ্য আমি যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে চলছিলাম। পরিবার, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু চিকিৎসক হিসেবে আমাকে নিয়মিত হাসপাতালে রোগীদের পরিষেবা দিতে হচ্ছিল।

Advertisement

আমিনুর ইসলাম লস্কর

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২০ ০১:০০
Share:

সুস্থ হয়েছেন চিকিৎসক।

২৬ জুলাই জানতে পারি, আমি কোভিড-১৯ পজ়িটিভ। কোনও উপসর্গ ছিল না। ১৩ জুলাই একজনের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করি। ১৭ জুলাই তাঁর করোনা ধরা পড়ে।

Advertisement

এরপরে আমি ২৪ জুলাই নিজের লালারস পরীক্ষা করাই। ২৬ তারিখ রিপোর্ট আসার পরেই বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকতে শুরু করি। পরিবার, ছোট বাচ্চাটার জন্য কষ্ট হলেও, এই ক’দিন কাউকে কাছে ঘেঁষতে দিইনি।

আগে থেকেই অবশ্য আমি যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে চলছিলাম। পরিবার, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু চিকিৎসক হিসেবে আমাকে নিয়মিত হাসপাতালে রোগীদের পরিষেবা দিতে হচ্ছিল। যেখানে আমার পক্ষে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব

Advertisement

ছিল না। শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরতে পেরেছি। একজন চিকিৎসক হিসেবে এটুকু মনে হচ্ছে যে, মন থেকে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ভয় দূর করে সব সময়ে মনের জোর ধরে রাখতে পারলে করোনাকে হারিয়ে জেতা সম্ভব। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, ভিটামিনযুক্ত খাবার, মাছ, ডিম, বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জি খেতে হবে।

আমার হাঁপানির সমস্যা ছিল। তাই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম থেকেই একটা ভয় ছিল। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র খেতাম। তা ছাড়া, নিয়মিত রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর জন্য মধু, ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার, চবনপ্রাশ, কালো জিরে, রসুন-সহ অন্যান্য খাবারও খেতাম।

পরিবার, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশীরা আমার পাশে ছিলেন। তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আশা করব, কেউ যেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রতি অমানবিক না হন। যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও মনের জোর আর সাহস থাকলে জয় আসবেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement