প্রতীকী ছবি।
ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের ভবানীপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাসখানেক আগে করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নিয়েছিলেন নুরপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক দেবদূত মণ্ডল। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ় নিতে গিয়ে বার বার ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিষেধক নেই। দেবদূতবাবুর কথায়, “পাঁচ দিন ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দিয়েও ফিরে আসছি। প্রত্যেকবারই বলা হচ্ছে পরে আসতে।”
শুধু দেবদূতবাবুই নন, টিকার অভাবে এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন এলাকার বহু মানুষই। মাস দেড়েক আগে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার অধীন ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ মহকুমা এলাকার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতাল থেকে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, দুই মহকুমা মিলিয়ে মোট ২২২টি কেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়েছিল। বহু মানুষ টিকার প্রাথমিক ডোজ় নেন। প্রথম দিকে দিনে প্রায় ১৬২০০ জনকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে প্রতিষেধক না আসায় ২২২টি কেন্দ্রের অধিকাংশ থেকেই টিকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এই মুহূর্তে ৬০-৭০টি কেন্দ্র চালু রয়েছে। ফলে প্রতিষেধক নিতে এসে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমনিতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। তার উপর টিকা না পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ তাঁরা। নুরপুর এলাকার বাসিন্দা জয়দেব হালদার বলেন, “টিকা পেলে অনেকটা নিশ্চিন্ত হওয়া যেত। কিন্তু বারবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েও ফিরে আসতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই মুহূর্তে প্রতিষেধক নেই। পরে আসতে হবে।”
কেন এই পরিস্থিতি? ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার নোডাল অফিসার রবিউল ইসলাম গায়েন বলেন, “দিল্লি থেকে প্রতিষেধক না আসায় সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলায় প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার প্রতিষেধক প্রয়োজন। সেই জায়গায় এখনসপ্তাহে ৭ থেকে ১০ হাজার করে প্রতিষেধক আসছে।”