দেরিতে এল অ্যাম্বুল্যান্স, মৃত্যু করোনা আক্রান্তের

এ দিন দুপুর ১২ নাগাদ বেড়গুম এলাকার বছর বাহান্নর ওই মহিলা করোনার উপসর্গ নিয়ে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আসেন। তাঁর কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাবড়া শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৪২
Share:

প্রতীকী চিত্র

অ্যাম্বুল্যান্স বিভ্রাটে ফের মৃত্যু হল করোনা-আক্রান্ত রোগীর। বনগাঁর পরে এ বার হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স দেরিতে পৌঁছনোয় আক্রান্ত প্রৌঢ়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলের এই ঘটনায় ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া নম্বরে ফোন করে কোনও সাড়া মেলেনি। মাসখানেক আগে বনগাঁ হাসপাতালে প্রৌঢ় রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে উঠতে সাহায্য করেননি কেউ। এমনকী, চালকও নন। অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠার মুহূর্তেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন ওই প্রৌঢ় ব্যবসায়ী। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই চতুর্দিকে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনার পরে অবস্থার যে বিশেষ বদল হয়নি, এ দিনের ঘটনা তার প্রমাণ।

Advertisement

এ দিন দুপুর ১২ নাগাদ বেড়গুম এলাকার বছর বাহান্নর ওই মহিলা করোনার উপসর্গ নিয়ে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আসেন। তাঁর কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল। দিন কয়েক আগে জ্বরও হয়েছিল। স্থানীয় চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধে জ্বর সেরে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। মহিলার পরিবারের অভিযোগ, হাবড়া হাসপাতালে আনার পর সেখানে তাঁর র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা হয়। হাসপাতালে সূত্রে জানানো হয়েছে, মহিলাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। মহিলার ছেলে বলেন, “রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পরেই মা-কে কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।। তখনই স্বাস্থ্য দফতরের কন্ট্রোল রুমে ফোন করি অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য। কেউ ফোন ধরেননি। পরে পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের মাধ্যমে অ্যাম্বুল্যান্স ঠিক করে দেন।”

মৃতের পরিজনেরা জানান, বেলা চারটে নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে পৌঁছয়। পিপিই কিট পরার জন্য চালক আরও কিছুটা সময় নেন। সাড়ে চারটে নাগাদ রোগীকে যখন অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার ব্যবস্থা হয়, ততক্ষণে নিথর হয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর ছেলে বলেন, “দ্রুত কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মা-কে অকালে হারাতে হত না।” ওই হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে জানাব, যাতে ভবিষ্যতে অন্য রোগীদের এই অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয়।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement