প্রতীকী ছবি।
ব্যারাকপুরের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ল করোনা-আতঙ্ক। আক্রান্ত ব্যারাকপুর লাগোয়া মোহনপুর কাঠালিয়ার এক ব্যক্তি। পাঁচ শিশু-সহ তাঁর পরিবারের ২১ জনকে গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকতে বলেছে প্রশাসন। ওই ব্যক্তির ওষুধের দোকান রয়েছে। ব্যারাকপুরের আরও ছ’টি ওষুধের দোকান রয়েছে তাঁদের। প্রশাসন এলাকা সিল করেছে। মোট ৪০টি পরিবারকে বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। তাঁদের জরুরি জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করবে পঞ্চায়েত। এ নিয়ে ব্যারাকপুর এলাকায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে আরও কিছু এলাকায়। সে সব জায়গায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে মোহনপুরের কাছে নোনা চন্দনপুকুরের এক ব্যক্তি প্রথম আক্রান্ত হন। কয়েক দিনের মধ্যে এক বৃদ্ধও আক্রান্ত হন। গত সপ্তাহে উত্তর ব্যারাকপুরের তিন জনের করোনা-রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। মোহনপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নির্মল কর জানান, শুক্রবার মোহনপুরের ওই ব্যক্তির রিপোর্ট মিলেছে। শনিবার প্রশাসনের তরফে এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। আজ, রবিবার এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমতি হোয়াইট হাউসের
আক্রান্ত ব্যক্তি রহড়ার দোকান সামলাতেন। তিনি সেখান থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন কি না, বোঝা যাচ্ছে না। সপ্তাহ দেড়েক আগে বিএন বসু হাসপাতালের এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন। সে দিন মোহনপুরের ওই ব্যক্তির এক ভাই সেখানে ভর্তি ছিলেন।
আক্রান্ত ব্যক্তি সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। ওষুধ খেয়ে লাভ না হওয়ায় তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। পরিজনেদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।