সতর্কতা: নো-ম্যানস ল্যান্ডেই পরীক্ষা করা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষকে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতার জন্য শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হল। এর জেরে শুক্রবার পেট্রাপোল সীমান্তে যাতায়াতের ঢল নামে।
বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা শুক্লা রায় এ দিনই হাবড়ায় বাপের বাড়ি আসেন। ভোর ৫টায় বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। সকাল ৯টার মধ্যে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এ দেশে ঢুকে পড়েন। শুক্লা বলেন, ‘‘প্রতিবছর গাইঘাটার কুলপুকুর এলাকায় কালীপুজোয় পুজো দিতে আসি। শনিবার পুজো। কিন্তু শুনছি আমাদের এখন ভারতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তাই হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে পড়ি।’’
অভিবাসন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ মার্চ রাত ১২টার পর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে কোনও ভারতীয় যাত্রীকে আপাতত বাংলাদেশে যেতে দেওয়া হবে না। একই ভাবে বাংলাদেশ থেকে কোনও বাংলাদেশিকেও এ দেশে আসতে দেওয়া হবে না। তবে এ দেশে থাকা বাংলাদেশিদের তাঁদের দেশে ফিরতে দেওয়া হবে। বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দেরও দেশে ফিরতে দেওয়া হবে।
এ দিন পেট্রাপোলে গিয়ে দেখা গেল, কেউ এসেছেন চিকিৎসককে দেখাতে, কেউ সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সকলেরই বক্তব্য, এরপরে তো প্রায় এক মাস এ দেশে আসতে পারবেন না। তাই তড়িঘড়ি আসা। ময়মনসিংহ থেকে এসেছিল ফকির আহমেদ। হৃদরোগ আছে। চিকিৎসকের ডেট কয়েক দিন পরে। কিন্তু তিনি আগেই চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এ দিন না এলে ডাক্তারই দেখাতে পারতাম না। হোটেল ভাড়া করে থাকব।’’