পোলিয়ো খাওয়াচ্ছেন আশাকর্মী। নিজস্ব চিত্র
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শুরু হয়েছে পালস পোলিয়ো টিকা কর্মসূচি। রবিবার থেকে সারা রাজ্য জুড়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী চার দিন ধরে চলবে। করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে কর্মসূচি ঘিরে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার কোনও ক্যাম্প করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পোলিয়ো ক্যাম্প করা হলে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা সম্ভব হত না। সে কারণে অঙ্গনওয়াড়িকর্মী, আশাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িতে গিয়ে শিশুদের পালস পোলিয়ো খাওয়াবেন। এ জন্য তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক, গ্লাভস, ফেসশিল্ড, স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়েছে। কোন শিশুকে পালস পোলিয়ো খাওয়ানোর আগে হাত ভাল করে স্যানিটাইজ় করতে হবে। টিকাকরণ কর্মসূচিতে যে সমস্ত আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়িকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীরা যোগ দেবেন, তাঁদের শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে। প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করানো হয়। ক্যানিং ২ ব্লক এলাকায় ৪৮৮ জন কর্মীর লালারস পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে একজনের করোনা ধরা পড়ে। ভাঙড় ১ ব্লক এলাকায় ৪৭০ জন কর্মীর করোনা পরীক্ষা করা হলে একজন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা ধরা পড়ে। আপাতত ওই সমস্ত করোনা আক্রান্ত কর্মীদের কর্মসূচি থেকে বাদ রাখা হয়েছে। ওই দুই করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে চিকিৎসার জন্য সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে।
ক্যানিং ২ ব্লক এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে শিশুকে পালস পোলিয়ো খাওয়ানো হচ্ছে। ভাঙড় ১ ব্লক এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার শিশুকে পোলিয়ো খাওয়ানো হচ্ছে। অন্য দিকে, ভাঙড় ২ ব্লক এলাকায় প্রায় ৩৫ হাজার শিশুকে পোলিয়ো খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এ বিষয়ে ক্যানিং ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হরিপদ মাঝি বলেন, ‘‘যে সমস্ত কর্মীরা শিশুদের পোলিয়ো খাওয়াবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁদের সকলের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত নিয়ম মেনেই আমরা পালস পোলিয়ো কর্মসূচি করছি।’’