পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুই অভিযুক্ত। ফাইল চিত্র
ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও বিস্ময় কাটছে না ব্যারাকপুর কমিশনারেটের নিচুতলার কর্মীদের। দমদম থানার ঘুঘুডাঙা ফাঁড়িতে ঢুকে অফিসার-ইন-চার্জকে মারধর এবং তার পরে অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে মাঝরাতে কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তার থানায় হাজির হওয়ার অভিযোগ তো ছিলই। ব্যারাকপুর কমিশনারেট সূত্রের খবর, এর উপরে অভিযুক্তেরা জামিন পাওয়ায় বাহিনীর মনোবল কার্যত তলানিতে ঠেকেছে।
মাস চারেক আগে শূরের মাঠের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছাত্র-সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই দমদম থানায় মামলা রুজু হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক পক্ষের অভিযুক্ত সাদাব হোসেন এবং তাঁর দাদা ওয়াসিম আখতারের সঙ্গে কথা বলছিলেন ফাঁড়ির অফিসার-ইন-চার্জ শিবচরণ মণ্ডল। তখন ওয়াসিম এবং সাদাব তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। দুই অভিযুক্তের পক্ষ নিয়ে কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা মধ্যরাতে থানায় গিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন বলেও অভিযোগ ওঠে। উপরন্তু বুধবার অভিযুক্তেরা জামিন পাওয়ায় ঘটনাটি অন্য মাত্রা পেয়েছে। সরকারি আইনজীবী পল্লব গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে কিছু বলার নেই।’’
বৃহস্পতিবার সেরা থানার দৌড়ে এগিয়ে থাকা দমদম থানায় পরিদর্শন ছিল। সেই উপলক্ষে দমদম থানায় আসেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার রাজেশ সিংহ। ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, কলেজে সংঘর্ষের সময় থেকেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার ওই কর্তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সংঘর্ষ চলাকালীন সাদাব কলেজে
‘বহিরাগত’দের ঢোকানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাতে বাধা দেওয়া হলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের ব্যাখ্যা তলব করেন ওই কর্তা। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কর্তব্য পালন করতে গিয়ে যদি মার খেতে হয় কিছু বলার নেই। যেমন চলছে চলুক!’’ বাহিনীর এই মনোভাব প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হননি কমিশনারেটের কোনও কর্তাই।