Clash among Thakur family

বড়মাকে হত্যা করেছেন মমতা ঠাকুর, অভিযোগ শান্তনুর

শান্তনু আরও অভিযোগ করেন, মমতা ঠাকুরের স্বামী, শান্তনুর জ্যাঠা কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের মৃত্যুও ছিল রহস্যজনক।

Advertisement
গাইঘাটা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৩ ০৯:১৪
Share:

মমতা ঠাকুর (বাঁ দিকে), শান্তনু ঠাকুর (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে মতুয়া ঠাকুরবাড়ির দু’টি পরিবারের মধ্যে ফের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুরের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা, প্রয়াত বীণাপানি ঠাকুরকে (বড়মা ) হত্যা করেছিলেন মমতা ঠাকুর (মমতা ঠাকুরের শাশুড়ি ছিলেন বীণাপানি)। ২০১৯ সালের ৫ মার্চ বড়মা মারা যান। শান্তনুর অভিযোগ, "সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার জন্য মমতা ঠাকুর বড়মাকে হত্যা করেছিলেন। এমনকী, বড়মাকে মারধর করে তাঁর মুখাবয়ব বদলে দেওয়া হয়েছিল। তখন আমার বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এটা নিয়ে মামলা করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসন এবং তৃণমূলের প্রভাব থাকায় তা চেপে দেওয়া হয়েছিল।"

শান্তনু আরও অভিযোগ করেন, মমতা ঠাকুরের স্বামী, শান্তনুর জ্যাঠা কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের মৃত্যুও ছিল রহস্যজনক। তাঁর মৃত্যুর পরে মহারাষ্ট্রে থাকা তাঁর সম্পত্তি মমতা ঠাকুর নিজের নামে করে নিয়েছিলেন।

Advertisement

কপিলকৃষ্ণ ২০১৪ সালে বনগাঁ লোকসভা আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ১৩ অক্টোবর তিনি মারা যান। তারপরে উপ নির্বাচনে জয়ী হয়ে মমতা ঠাকুর সাংসদ হয়েছিলেন। শান্তনুর দাবি, ২০১৪ সালের আগে মমতা ঠাকুরকে তিনি ঠাকুরবাড়িতে দেখেননি। ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশোনা করে শান্তনু ঠাকুরবাড়িতে ফেরেন। কিন্তু তখন মমতা ঠাকুরকে এখানে দেখেননি বলে দাবি শান্তনুর।

শান্তনুর অভিযোগ প্রসঙ্গে মমতা ঠাকুরের জবাব, ‘‘বড়মাকে ২০১১ সাল থেকে আমি সেবাশুশ্রূষা করেছি। অসুস্থ বড়মাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি। এ সব কথা মতুয়ারা জানেন।" বড়মাকে মেরে ফেলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "শান্তনু ঠাকুর তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বড়মার এবং আমার স্বামীর মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত করান।’’ মমতার কথায়, ‘‘ শান্তনুর বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মানহানির মামলা করছি।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement