TMC Internal Conflict

আমডাঙায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারপিট, পা ভাঙল কর্মীর

ঘটনায় মারধরের অভিযোগ উঠেছিল পার্থ ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তোয়েব আলি গোষ্ঠীর দিকে। যদিও দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তোয়েব।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৮
Share:

আমডাঙার গ্রামে নিরাপত্তা রক্ষীদের টহল। ছবি: সুদীপ ঘোষ 

ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হল আমডাঙা। আহত হয়েছেন আতাউল মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী। পা ভেঙেছে তাঁর। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙা থানার বোদাই পঞ্চায়েতের খুড়িগাছির উত্তরপাড়া এলাকায়। এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

দলের গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনে পার্থ ভৌমিক জেতার পরে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে আমডাঙায়। আক্রান্তদের দাবি, স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে পার্থ ভৌমিকের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। অভিযোগ, রবিবার সকালে আতাউলকে মারধর করে আইজুল মণ্ডল, সাজিরুল মণ্ডল, খলিল মণ্ডল, জিয়াদ মণ্ডলেরা। হাতুড়ি, রড, বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। আতাউল বলেন, ‘‘আমি তৃণমূল কর্মী হিসাবে পার্থ ভৌমিকের হয়ে ভোটে কাজ করেছি। ভোট শেষে বিধায়ক রফিকুর রহমানের লোকেরা ভয় দেখায়। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিই। শনিবার ফিরেছি। রবিবার সকালে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলাম। ওরা হামলা চালিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে।’’

তৃণমূল সূত্রের খবর, ২১ জুন খুড়িগাছিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে আক্রান্ত হন রফিকুর গোষ্ঠীর তিন জন। সেই ঘটনায় মারধরের অভিযোগ উঠেছিল পার্থ ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তোয়েব আলি গোষ্ঠীর দিকে। যদিও দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তোয়েব।

Advertisement

ওই ঘটনায় আহতেরা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ, বিধায়ক অনুগামীরা তোয়েব ঘনিষ্ঠ আতাউল মণ্ডল ও রকিবুল ইসলামকে মারধর করে। পা ভাঙে আতাউলের।

তোয়েব বলেন, ‘‘আমি ঘটনার খবর পেয়েছি। বিস্তারিত শুনে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বিধায়ক রফিকুর রহমান বলেন, ‘‘দোষীরা কেউ ছাড় পাবে না। দলের লোক হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে। কিছু লোক আছে, তারা সারা জীবন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে। ওই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ আমডাঙার ঘটনা প্রসঙ্গে পার্থ ভৌমিক পরে বলেন, ‘‘আমি ওঁদের সঙ্গে কথা বলেছি, কী নিয়ে সমস্যা হচ্ছে জানতে চেয়েছি। দলের মধ্যে কোনও রকম কোন্দল রেয়াত করা হবে না।’’

অন্য একটি ঘটনা, ভেড়ির দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল দেগঙ্গা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের জোয়ারিয়া গ্রামে। লাঠিসোঁটা নিয়ে মারপিট বাধে। বোমাবাজিও হয় বলে বলে অভিযোগ। গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ যায়। থানায় অভিযোগ হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement