Garbage Dump In Panihati

জঞ্জাল সাফাই ফের বন্ধ, ঘনাচ্ছে আশঙ্কা

ভাগাড় সরানোর দাবিতে আন্দোলনের জেরে প্রায় এক মাস গোটা পানিহাটি জুড়ে জঞ্জাল অপসারণের কাজ বন্ধ ছিল। কারণ, রামচন্দ্রপুর ভাগাড়ে ঢোকার রাস্তার উপরেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পানিহাটি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দিন ছয়েক আবর্জনা সাফ হওয়ার পরেই থমকে গিয়েছে কাজ! আর তাতেই ফের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পানিহাটির বাসিন্দারা। গত চার দিন ধরে কাজ বন্ধ থাকার ফলে আবারও রাস্তায় জমতে শুরু করেছে আবর্জনার স্তূপ। যদিও পুরকর্তাদের দাবি, প্রশাসনিক কিছু নিয়ম-নীতির কারণে এই সমস্যা হয়েছে। এটা সাময়িক। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আবার জঞ্জাল অপসারণের কাজ শুরু হবে।

Advertisement

ভাগাড় সরানোর দাবিতে আন্দোলনের জেরে প্রায় এক মাস গোটা পানিহাটি জুড়ে জঞ্জাল অপসারণের কাজ বন্ধ ছিল। কারণ, রামচন্দ্রপুর ভাগাড়ে ঢোকার রাস্তার উপরেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অগত্যা বাড়ি বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা জঞ্জাল পুর এলাকার বড় রাস্তার উপরে ফেলতে শুরু করে পুরসভা। তাতে বিটি রোড, সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোড-সহ বড় রাস্তার দু’ধারে কার্যত ভাগাড় তৈরি হয়। সমস্যার সমাধানে ভাগাড় উচ্ছেদ কমিটির সঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসলেও, কোনও সমাধানের পথ বেরোয়নি। শেষে সাংসদ সৌগত রায়ের অনুরোধে, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হস্তক্ষেপে কেএমডিএ পানিহাটির জমে থাকা আবর্জনা তুলে ধাপায় কলকাতা পুরসভার ভাগাড়ে ফেলতে শুরু করে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল সেই কাজ। কিন্তু দিন চারেক আগে আবার তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বড় রাস্তা, অলিগলি— সর্বত্র আবর্জনা ফের ডাঁই হয়ে পড়ে থাকতে শুরু করেছে। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সোমনাথ দে বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে কেএমডিএ আবর্জনা তোলার জন্য দরপত্র ডেকেছে। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই আবার কাজ শুরু হবে। আশা করা যায়, দু’-তিন দিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement