—প্রতীকী চিত্র।
চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৭৫ জন। ডেঙ্গি সংক্রমণের ক্ষেত্রে এমনই চিত্র পানিহাটি পুরসভার। ব্যারাকপুর মহকুমার সমস্ত পুরসভার মধ্যে এই এলাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। কেন এলাকার এমন অবস্থা, তা নিয়ে এ বার পানিহাটি পুর কর্তৃপক্ষকে জেলাশাসকের তোপের মুখে পড়তে হল বলে সূত্রের খবর।
সোমবার ব্যারাকপুর মহকুমার সমস্ত পুরসভার পুরপ্রধান, হাসপাতালের সুপার এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে ডেঙ্গি মোকাবিলা সংক্রান্ত বৈঠকে বসেন জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, প্রতিটি পুরসভাকে ধরে ধরে ডেঙ্গি পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন জেলাশাসক। সেখানেই পানিহাটি পুরসভার ডেঙ্গি-চিত্র নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। ওই পুরসভার পুরপ্রধান মলয় রায় এ দিন বৈঠকে যাননি। বদলে কার্যনির্বাহী আধিকারিক গিয়েছিলেন। তাঁর কাছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন জেলাশাসক। কারণ একমাত্র ওই পুর এলাকাতেই মশাবাহিত রোগ কমার বদলে বেড়ে চলেছে বলে সূত্রের খবর। সেখানে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন জেলাশাসক। অন্য দিকে, দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, বরাহনগর, ভাটপাড়া পুরসভার মতো কয়েকটি এলাকায় গত বছর ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়েছিল। সেখানেও এ বছর বাড়তি নজরদারির জন্য বলা হয়েছে।
ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রতিটি পুরসভাকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পুরকর্মীদের দিয়ে দ্রুত প্রতিটি বাড়িতে সমীক্ষা চালাতে হবে। কোথাও জল বা আবর্জনা জমে থাকলে তা-ও অবিলম্বে সাফ করতে হবে। ব্যারাকপুর মহকুমায় অসংখ্য বন্ধ কারখানা, রেলের জমি, খাটাল রয়েছে। বন্ধ কারখানা কর্তৃপক্ষকে নোটিস দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি রেল কর্তৃপক্ষ এবং খাটাল মালিকদের সঙ্গেও পুরসভাগুলিকে কথা বলতে বলা হয়েছে।