আবাস যোজনার বাড়ি। —প্রতীকী ছবি।
আবাস তালিকার অনিয়ম নিয়ে বুধবার হিঙ্গলগঞ্জের বিডিওর ঘরের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হিঙ্গলগঞ্জে বিডিওর ঘরের বাইরে দু’টি বাক্স রাখা হয়েছে আবাস নিয়ে অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য। সেই বাক্সে কিছু দিন ধরেই অনেকে অভিযোগ জমা দিচ্ছেন। এ দিন সকাল থেকেই বহু মানুষ আসেন অভিযোগ জমা দিতে। তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিডিওর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টাও করেন তাঁরা। পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বিডিওর ঘরের ভিতরে যাতে কেউ ঢুকতে না পারেন, সে জন্য ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। বিডিও দেবদাস গঙ্গোপাধ্যায় কিছুক্ষণ পরে ঘরের বাইরে এলে তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কি বেধে যায় গ্রামবাসীদের।
ক্ষুব্ধ এক বৃদ্ধা সেলিমা বিবি বলেন, “আমার মাটির বাড়ি। ২০২২ সালে যে আবাস তালিকা তৈরি হয়েছিল, সেখানে আমার নাম ছিল। এখনকার তালিকায় দেখছি নাম নেই। তাই বিডিওর কাছে এসেছিলাম। তবে সমস্যার সমাধান হল না।” গ্রামবাসীদের অনেকেরই দাবি, যাদের পাকা বাড়ি, তাঁদের নাম আছে আবাস তালিকায়। আর যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের নাম নেই।
বিডিও বলেন, “গ্রামের মানুষ ভুল বুঝে এসেছিলেন। এখন তো আর আবাস তালিকায় নাম তোলার সুযোগ নেই। যে তালিকা আগে তৈরি হয়েছিল, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সইদুল্লা গাজি বলেন, “এক শ্রেণির মানুষের চাওয়ার শেষ নেই। কেন্দ্রের বঞ্চনার পরেও মুখ্যমন্ত্রী ঘরের ব্যবস্থা করেছেন মানুষের জন্য। তারপরেও যাঁদের মাটির বাড়ি থেকে যাবে, তাঁদের জন্য রাজ্য সরকার আবার পদক্ষেপ করবে নিশ্চই।”
সিপিএম নেতা রবি বিশ্বাস বলেন, “আবাস দুর্নীতির জেরে অনেক যোগ্য মানুষ ঘর পাচ্ছেন না। তাই মানুষ বাধ্য হচ্ছে বিডিওর ঘরের বাইরে গিয়ে ক্ষোভ জানাতে। এই আবাস দুর্নীতির সঙ্গে সরকারি আধিকারিক ও তৃণমূলের সব স্তরের নেতারা জড়িত।”