Last Train to Hasnabad

শেষ ট্রেনে মদ-গাঁজার আসর, ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন বাকিরা

জানা গেল, নেশাড়ুরা কামরার দু’টি গেটের সামনে বসে পড়ে। বাকি যাত্রীরা যাতে ওএই সব কামরা এড়িয়ে যান, সে জন্যই এই ব্যবস্থা।

Advertisement

নবেন্দু ঘোষ 

হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৯
Share:

ট্রেনের কামরায় চলছে গাঁজার নেশা। —নিজস্ব চিত্র।

চলন্ত ট্রেন যেন নেশার আসর!

Advertisement

বারাসাত থেকে রাত ১১টায় শেষ ট্রেন আছে হাসনাবাদের। এই ট্রেনের বিভিন্ন কামরায় প্রায় দিনই নেশার আসর বসে বলে দাবি যাত্রীদের। জিআরপি বা আরপিএফের নজরদারি চোখে পড়ে না বলে অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের একাংশের।

শেষ ট্রেনে যাত্রী তুলনায় কম থাকে। সেই সুযোগে কিছু নিত্যযাত্রীই কামরায় বসে মদ-গাঁজা খান বলে অভিযোগ। বাকি যাত্রীরা তাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। মহিলা যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও উদ্বেগের। এক মহিলার কথায়, ‘‘প্রায়ই কাজ সেরে ফিরতে দেরি হয়। শেষ ট্রেন ধরি। একবার তো কামরায় নেশার আসর দেখে সেখান থেকে নেমে অন্য কামরায় গিয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু সেখানেও দেখলাম একই পরিস্থিতি। কোনও পুলিশ চোখে পড়েনি। পুরো রাস্তা খুবই ভয়ে ভয়ে এসেছিলাম।’’

Advertisement

জানা গেল, নেশাড়ুরা কামরার দু’টি গেটের সামনে বসে পড়ে। বাকি যাত্রীরা যাতে ওএই সব কামরা এড়িয়ে যান, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। তবে ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা পড়েন ভোগান্তিতে। দেখা গেল, এক ব্যক্তি ব্যাগ থেকে মদের বোতল বের করে কিছুটা নিজে খেলেন, কিছুটা ভাগাভাগি করে সঙ্গীরা খেলেন। পকেট থেকে বেরোল গাঁজার কল্কে। ট্রেনের কামরা এক সময়ে ধোঁয়ায় ভরে গেল। কল্কের আগুন দিতে সমস্যা হওয়ায় পাখা বন্ধ করে দিতে দেখা গেল। নেশা যাঁরা করছেন, বয়স ৩০-৪০। বয়স্ক কয়েক জনকে দেখা গেল। নিজেদের মধ্যে গালিগালাজ, হুল্লোড় করতে করতে চলল পুরো দলটা। কামরায় বসে সিগারেট খেতে দেখা গেল আরও অনেককে। তাসের আসরও তখন জমে উঠেছে।

আরও জানা গেল, বেলা ১২টা ২০ মিনিটে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ লোকালের সাধারণ কামরায় বর্জ্য তোলা হয় শিয়ালদহ থেকে। দুর্গন্ধে ভরে যায় কামরা। বর্জ্য আনা হয় ভ্যাবলা স্টেশনে। ওই সব জিনিস মাগুর মাছের খাবার হিসাবে ব্যবহার করা হয়। জিআরপি তাতেও কোনও বাধা দেয় না বলে জানালেন নিত্যযাত্রীদের কেউ কেউ।

শিয়ালদহ জিআরপির এক আধিকারিক জানান, সব ট্রেনের সব কামরায় নিরাপত্তা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো নেই। তবে নজরদারি চালানো হয়। মাঝে মধ্যে বিশেষ অভিযান চলে। রাতের ট্রেনে নিরাপত্তা বাড়ানোর ভাবনা-চিন্তা চলছে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement