লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শোরগোল চলছে রাজ্যে। এরই মধ্যে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল স্বরূপনগরের চারঘাট পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে ওই ব্যক্তিকে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)।
অভিযোগ, ২০১৯ সালে উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিন জনের কাছ থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী নিখিলরঞ্জন বিশ্বাস ও তাঁর এক অনুগামী। চাকরি পাননি কেউ। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে কিছু দিন আগে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। প্রশাসনের একাধিক দফতরেও বিষয়টি জানানো হয়।
‘প্রতারিত’ নুরজাহান বলেন, ‘‘২০১৯ সালে উনি চাকরি দেবেন বলে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন আমার কাছ থেকে। চাকরি দিতে পারেননি। টাকাও ফেরত দিতে পারবেন না বলে জানান। বিভিন্ন এলাকায় অনেকের থেকে কোটি কোটা টাকা তুলেছেন উনি।’’ নিখিলকে টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন বাদুড়িয়ার বাসিন্দা মাজহার আলি ও তাঁর আত্মীয় নুরজামান। তাঁরাও জানান, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরির আশায় বেশ কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি হয়নি, টাকাও ফেরত মেলেনি।
এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত নিখিল। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দেননি নিখিল। বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে শুনেছি। তদন্তকারীরা জানতে চাইলে সব বলব।’’ নিখিলের স্ত্রী, তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। পুলিশ জানিয়েছে, স্বরূপনগর এবং বাদুড়িয়া থানায় প্রতারণার অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্বরূপনগরের তৃণমূল নেতা রমেন সর্দার বলেন, ‘‘চাকরির নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ শুনেছি। কেউ যদি অন্যায় করে, তার সাজা হবে।’’