Rape

একাধিক বার ধর্ষণে অসুস্থ বারুইপুরের স্কুলছাত্রী! অভিযুক্ত দ্বাদশের ছাত্র ‘পলাতক’

এই প্রথম নয়, মাস দুয়েক ধরে বার বার ধর্ষণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে নাবালিকা। মঙ্গলবার এই অভিযোগে প্রতিবেশী এক ছাত্রের বিরুদ্ধে বারুইপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছে ওই নাবালিকার পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৬:২৯
Share:

দিনের পর দিন প্রতিবেশী ছাত্রের ধর্ষণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে মেয়ে। এমনই দাবি করেছেন এক মহিলা। প্রতীকী ছবি।

আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার অছিলায় নিজের দিদির বাড়ি নিয়ে গিয়ে নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। এমনকি, ধর্ষণের বিষয়ে মুখ খুললে নাবালিকাকে প্রাণনাশেরও হুমকিও দেন তিনি। তবে এই প্রথম নয়, মাস দুয়েক ধরে বার বার ধর্ষণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে নাবালিকা। মঙ্গলবার এই অভিযোগে প্রতিবেশী ছাত্রের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছে ওই নাবালিকার পরিবার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বারুইপুর থানা এলাকায় অর্জুনা গ্রামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তাঁরই প্রতিবেশী নাবালিকার পরিবার। সেই অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ছাত্রটি পলাতক বলে দাবি। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে।

নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ছাত্রটি নিজের দিদির বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সপ্তম শ্রেণির নাবালিকা মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এই ঘটনার কথা কাউকে বললে তাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেন। পরে মেয়েকে ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। প্রাণভয়ে এ কথা প্রথমে না জানালেও দিনের পর দিন ধর্ষণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়ে। এর পর মায়ের কাছে সমস্ত কথা জানায় নাবালিকা। তার পরই বারুইপুর থানার দ্বারস্থ হন নাবালিকা ও নাবালিকার মা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে দাবি, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ছাত্রীটির। যদিও তা অস্বীকার করেছেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যেরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তের বাড়িতে যায় পুলিশ। পুলিশ আসার খবর পেয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যান তিনি। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন থানা এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement